তাহিরপুরে আটক ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীর রিমান্ড চাইবে পুলিশ
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি মেঘালয় (জিএনএলএম)’-এর বড় মাপের সন্ত্রাসী কোচিং মারাক ওরফে ডেরেন মারাককে (৩৫) বাংলাদেশ পুলিশের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। পুলিশ বলছে, তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। আটককৃত মারাক পুলিশের কাছে জানিয়েছে, সে মেঘালয়ের মেন্দিপাথর গ্রামের নিপু মারাকের ছেলে। গত সোমবার রাত পৌনে ১০ টায় তাহিরপুর সীমান্তবর্তী বারেক টিলার পূলক আজিমের বাড়ি থেকে কোচিং মারাককে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডেরেন মারাককে আগামী রোববার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত পৌনে ১০টায় তাহিরপুর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় এক অপহরণকারী আশ্রয় নিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে একদল পুলিশ সীমান্তবর্তী বারেক টিলায় যায়। সেখানে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরকতুল্লা খান জানান, ওখানকার ট্রাইবাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পুলক মারাকর বাড়িতে কোচিং মারাক ওরফে ডেরেন মারাক নামের ভারতের মেঘালয়ের একজন বড় মাপের সন্ত্রাসী রয়েছে। সে গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি মেঘালয়ের একজন সদস্য। তার নেতৃত্বে মেঘালয়ে ইতিপূর্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ সাধারণ নাগরিককেও হত্যা করা হয়েছে বলে ভারতীয় উৎস থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ মারাক ওরফে ডেরেন মারাককে আটক করে। পরে মঙ্গলবার তাহিরপুর থানায় বর্ডার কন্ট্রোল এন্ট্রি অ্যাক্টে মামলা রুজু করে কোচিং মারাককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরকতুল্লা খান বলেন, ‘কোচিং মারাক ওরফে ডেরেন মারাক গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি মেঘালয়ের একজন বড় মাপের সন্ত্রাসী। বিষয়টি জানার পর থেকে গত দুই-তিন দিন ধরে আমরা তথ্য আদান-প্রদান করছি। ভারতের খাসিয়া হিলের পুলিশ সুপার মি. হাবাড আমাদের নিশ্চিত করেছেন মেঘালয়ের কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে সে এবং নিজের দলনেতাকে হত্যা করে অস্ত্র ছিনতাই করে আলাদা একটি সন্ত্রাসী গ্রুুপও গঠন করেছে কোচিং মারাক। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিকে অবহিত করা হয়েছে।’ তিনি জানান, আগামী রবিবার আদালতে হাজির করে কোচিং মারাকের রিমান্ড চাওয়া হবে। আদালতের আদেশ মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোচিং মারাকের বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।