তাহিরপুরে একই পরিবারের ৭ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে তোতা মিয়ার বোন আশু মিয়ার পরিবারের সাথে কথাকাটাকাটি করেন। কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রভাবশালী তোতা মিয়া বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির কতিপয় সদস্যকে দিয়ে আশু মিয়াকে নাজেহাল করার চেষ্টা চালান। হাসু মিয়াকে পুলিশ দিয়ে নাজেহাল করার বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে ওই দিন রাত ৯টার দিকে আশু মিয়ার দুই ছেলে আয়েত আলী ও জজ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বাদাঘাট বাজারের ভাই ভাই রেস্টুরেন্টে তোতা মিয়ার নিকট তাদের পিতাকে পুলিশ দিয়ে নাজেহাল করার বিষয়টি জানতে চান। একপর্যায়ে আয়েত আলী ও জজ মিয়া তোতা মিয়াকে জুতাপেটা করেন। এরই জের ধরে ঘটনার দুদিন পর তোতা মিয়া নিজে বাদী হয়ে উপজেলার বাদাঘাট বাজারের আশু মিয়া (৭৫), তার ছেলে আয়েত আলী (২৫), জজ মিয়া (৪১), স্কুল শিক্ষক মুর্শিদ আলম (৩৯), আজিজুল মিয়া (৩৫), হাবিবুর রহমান (১৮) ও নাবালক মজিবুর রহমান (১৫) সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জল জানান, অভিযুক্ত ৭ জন সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে সিনিয়র জুিডসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহিদুল আমিন শুনানী শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আশু মিয়ার সহোদর তাহের মিয়া বলেন, ‘ঘটনা যেটুকু ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পক্তি করা যেত। কিন্তু তোতা মিয়া তা না করে একই পরিবারের নাবালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির মামলা করে নিজের দাপট দেখিয়েছেন।’ মামলার বাদী তোতা মিয়া জানান, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদারের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষা মামলার মূল প্রতিবেদন কোর্টে দাখিল করা হবে।