তাহিরপুরে একাধিক ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ ধীরগতিতে
তাহিরপুর:: হাওরে যেভাবে ঢিমেতালে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে তাতে আগামী এক মাসেও কাজ শেষ হবে কি-না সন্দিহান হাওর পারের কৃষকদের । তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান ও খাইজ্যাউরী হাওরের পাটলাই নদীর তীরবর্তী বোয়ালমারা ও পুটিমারা এবং জয়পুর নতুনহাটি এলাকায় কোন কোন বাঁধে পাউবোর নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বাঁধের কাজ চলছে, কোন কোন বাঁধে কচ্ছপ গতিতে এখনও সবমিলিয়ে ২৫% বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এগুলো কবে শেষ হবে এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে হাওর পারের কৃষক। রবিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী উপজেলার মাটিয়ান হাওরের পাটলাই নদী সংলগ্ন বোয়ালমারা ৫৭নং পি,আই,সির পুটিমারা এলাকার ৫৮নং পি,আই,সি ও ৬০নং পি,আই,সির বাঁধ এছাড়াও খাইজ্যাউরী হাওরের জয়পুর নতুনহাটি সংলগ্ন এলাকার ৩৬নং পি,আই,সির ফসল রক্ষা বাঁধ ঘুরে এসে জানাযায়। পাটলাই নদী সংলগ্ন এলাকার বোয়ালমারা ৫৭নং পি,আই,সির ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ গত তিন-চর দিন পূর্বে শুরু করে এপর্যন্ত স্থানীয়দের ধারণামতে সবমিলিয়ে ২০%কাজ সম্পন্ন হয়েছে।একই এলাকার পুটিমারা সংলগ্ন ৬০নং পি,আই,সির ১৬৪৪৫১৫,৭২টাকা বরাদ্দের ৬৯৮৩,১৭ঘনমিটার কাজের মধ্যে স্থানীয়দের ধারণামতে ২৫%কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ৫৮নং পি,আই,সির ১৯৪৬২০৪,২০টাকা বরাদ্দের ৮৬৯২,৪৮ ঘনমিটার কাজে,বাঁধে মাটিকাটার কাজ চলমান থাকলেও মাটি কমপেকশন এর কাজ শুরু হয়নি।একই উপজেলার খাইজ্যাউরী হাওরের জয়পুর নতুন হাটি সংলগ্ন ৩৬নং পি,আই,সি পাউবোর নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ নিয়ে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের শাহীন আখঞ্জী সহ একাধিক জানান মাটিয়ান হাওরের বোয়ালমারা সহ কিছু কিছু ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ যে গতিতে চলছে আগামী এক মাসে শেষ হবে কি-না তাই দেখার বিষয় সামনে বৃষ্টি বাদলের দিন সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ না হলে ফসল হারানোর আশঙ্কা থেকে যাবে। তারা বলেন বাঁধে মাটি পেলে নিয়ম অনুযায়ী মাটি কমপেকশন না হলে বৃষ্টির পানিতে বাঁধের মাটি সরে যাওয়া আশঙ্কাই খুববেশী, বাঁধে মাটি কমপেকশন করার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্যেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসির পাউবোর নিয়মনীতি অনুযায়ী মাটি কমপেকশন না করে তারা দায়সারা ভাবে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শুধু তাই নয় বাঁধ হতে পাউবোর নিয়ম অনুযায়ী দুরত্ব থেকে মাটি উত্তোলন না করে বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করে বাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বন্যার পানিতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫৭নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বদিউজ্জান বলেন পাশ্ববর্তী মাটি না থাকায় আমার কাজ ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে । আমি নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে কাজ শেষ করব। এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জির সাথে যোগাযোগ করলে উনি বলেন আমরা প্রতিদিনই বাঁধের কাজ পরিদর্শন করে যাচ্ছি, সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ করতে হবে,এতে কারো গাফিলতি থাকলে সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।