বার্তা ডেক্সঃ তাহিরপুরে বসতঘর নির্মাণ নিয়ে বিরোধে ভাইয়ে-ভাইয়ে মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম নুরুল আমিন। তিনি শ্রীপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে। এলাকাবাসী জানান, তাহের আলী দুই স্ত্রীর ৬ ছেলে রেখে ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে তার ছেলেরা প্রায়ই জায়গাজমি নিয়ে ঝগড়াবিবাদ করে আসছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান শাহ জামাল বসতঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে ভাইদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। এক পর্যায়ে মারধরে ঘটনাস্থলে নুরুল আমিন মারা যান। এ সময় জামাল ও তার ভাতিজা বাপ্পি আহত হন। পরে তাদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শ্রীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য গোলাম সারোয়ার ডালিম বলেন, আহত জামাল হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, বাপ্পি হাসপাতালে ভর্তি। তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
পিতা খুন হতে পারেন এমন ধারণা থেকে আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ছেলে
পিতা খুন হতে পারেন এমন ধারণা থেকে আগেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের খুন হওয়া নুরুল আমিন (৬০) এর ছেলে তরিকুল ইসলাম অয়ন। তিনি গত ১১ জানুয়ারি তার নিজের ফেসবুকে লিখেন,”আমার বাবা ও পরিবারের সদস্যদের কিছু হলে আমার তিন চাচা (১)নুরুল হক,(২)শাহ আলম (৩)শাহ জাহান , এই পোস্টটি প্রশাসনের ও এলাকাবাসী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।” ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসের ৮ দিনের মাথাই খুন হয়ে হল তাকে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ও বৃহস্পতিবার বসতঘর নির্মাণ নিয়ে বিরোধে ভাইয়ে-ভাইয়ে মারামারিতে প্রাণ হারান নুরুল আমিন। এতে আহত হয়েছেন একই পরিবারের আরও দুইজন।
নুরুল আমিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান শাহ জামাল বসতঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে ভাইদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। এক পর্যায়ে মারধরে ঘটনাস্থলে নুরুল আমিন মারা যান। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলাম অয়ন জানান, আমিসহ আমার আরেক ভাই চাকরী করার কারণে বাহিরে থাকি। আমার বাবা অসুস্থ থাকার কারণে জমি বিক্রি করতে চাইলে সম্পত্তি চাইলে দিতে রাজি হয় না আমার তিন চাচা। বার বার চাচাদের বুজিয়ে বললেও কোনো সমাধান হয়নি। অনেক বার হাতে পায়ে ধরেছি কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও জানান, থানা-ইউএনও-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সবাইকেই অবগত করেও কোনো লাভ হয়নি। শেষ মেশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমার বাবাকে তিন চাচা নুরুল হক, শাহ আলম, শাহ জাহান ও তাদের সন্তানরা মিলে আমাদের বাড়িতেই হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমার পিতা হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৩০ বার