তাহিরপুর: অবহেলায় একাডেমিক স্বীকৃতি পাচ্ছে না স্কুলটি
তাহিরপুর ;; তাহিরপুর উপজেলার সদরে অবস্থিত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজকে একাডেমির স্বীকৃতি দেওয়ায় দাবী জানিয়েছেন উপজেলাবাসী। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট উধর্বতন কতৃপক্ষ। এজেলার অন্যান্য কলেজ একাডেমির স্বীকৃতি পেলেও উপজেলা সদরে অবস্থিত এই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজটি অদৃশ্য কারনে একাডেমির স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে কোন সুযোগ সু্িবধাও পাচ্ছে কলেজটি। ফলে এলাকাবাসী,অভিবাবক ও শিক্ষকগনের মাঝে চরম ক্ষোবের সঞ্চার হচ্ছে। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,উপজেলা সদর ও তাহিরপুর থানা সংলগ্ন তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৮৮সালে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের সাথেই শনির হাওর পাড়ে প্রতিষ্টিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সুনামের সাথে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এই শিক্ষা প্রতিষ্টানটি। এরপর সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি মোয়াজেম হোসেন রতনের একান্ত প্রচেষ্টায় ২০১৪সালে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি কলেজে উন্নতি লাভ করে। শুরুতেই কলেজের ৫০জন ছাত্রী ও কলেজে ৭জন শিক্ষকের পদ থাকলেও ৩জন শিক্ষক দিয়ে পাঠ্যদান শুরু করে। এখনও ৩জনেই রয়েছে। এছাড়াও অফিস সহকারী ১জন,কমপিউটার অপারেটর ১জন রয়েছে। বর্তমানে কলেজে ১ম ও ২য় বর্ষে দু-শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করলেও নেই প্রয়োজনীয় শিক্ষক ও মূল ভবন। প্রতি বছর ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে কলেজে পাঠ্যদানে চরম ব্যাগাত সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট উর্ধবতন কতৃপক্ষ কলেজে শিক্ষক নিয়োগ ও একডেমিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী,অভিববাক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে। অন্যদিকে শিক্ষক ও ভবন সংকট থাকলেও স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ইয়াহিয়া তালুকদার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ২টি রোম দখল করে পরিবার পরিজন নিয়ে শুরু থেকেই বসবাস করছেন। শুধু তাই নয় তিনি নিজে স্কুল ও কলেজ থেকে ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করেই ৪৫হাজার টাকার বেশী বেতন নিচ্ছেন তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তিনি অদৃশ্য কারনে আরো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন অভিযোগ উঠেছে। নাজমুল হুদা,নিহার রঞ্জন,শেখর রায়সহ অভিবাবকগন ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোবের সাথে জানান,উপজেলায় সদরের একমাত্র মহিলা কলেজটিকে একাডেমিক স্বীকৃতি দেওয়া এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও বিজ্ঞান শাখা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পাশ্বভর্তি উপজেলার কলেজে গিয়ে ভর্তি হচ্ছে। কলেজে শিক্ষক সংকট থাকায় পাঠ্যদানে ব্যাগাত সৃষ্টি হচ্ছে আর নানান সমস্যা ত আছেই। এই বিষয়ে উধর্বতন কতৃপক্ষের যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। এই জেলার অন্যান্য কলেজ একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও কেন এই কলেজটি পাবে না। তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মরর্তগন বলেন,কলেজটি কে একাডেমির স্বীকৃতি না দেওয়ায় বর্তমান সময়ে অন্যান্য স্বীকৃত প্রাপ্ত্য ও এমপিও ভুক্ত কলেজের সমমান বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের দিন পার করছি। উর্ধবতন কতৃপক্ষ একটু সু-নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে আমাদেও কষ্টের অবসান হত। আর আমরা ভাল ভাবে বাচঁতে পারতাম। তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাক্ষ মাজহারুল ইসলাম জানান,কলেজে শিক্ষক ও ভবন সংকট রয়েছে তাই সম্প্রতি সুনামগঞ্জ ১আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজেম হোসেন রতন চারতলা বিশিষ্ট মূল ভবন তৈরীর কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। একডেমিক স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করছি। শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো আছে। তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান,স্কুল ও কলেজ এমপিও ভুক্ত পূর্বে একডেমিক স্বীকৃতি পেতে হবে। এর কোন টাই না হলে যারা কর্মরত থাকবে তারা কম বেতনে কষ্টেই আছেন। কম বেতনে কেউ চাকরী করতে চায় না তাই শিক্ষক সংকট আছে। স্বীকৃতির পাবার জন্য আমি আমার পক্ষ থেকে সবোর্চ্ছ চেষ্টা করছি। কলেজের কতৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।