তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে বেহাল অবস্থা দেখার কেউ নেই
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া::তাহিরপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ন তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পায় নি উপজেলাবাসী। স্বাধীনতার ৪৬বছর পার হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় এ সড়কটিতে প্রতিদিন ঘটছে নানান দূর্ঘটনা। গত কয়েক বছরে বন্যায় এ সড়কটিতে ৪টি স্থানে বড় ভাঙ্গনের কারনে এখন গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে উপজেলার ৪লক্ষাধিক জনসাধরনের। লিখিত ভাবে উবর্ধতন কর্মকর্তাদের বার বার জানানোর পরও কোন সুফল মিলছে না। অথছ এ উপজেলা থেকে প্রতি বছর সরকার প্রচুর পরিমান রাজ্যস্ব আদায় করছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
জানাযায়,উপজেলা সদর থেকে বাদাঘাট ইউনিয়নের দূরত্ব মাত্র ৮কিলোমিটার। আর উপজেলার ব্যাবসা বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র বাদাঘাট বাজার এছাড়াও উত্তর বড়দল,দক্ষিন বড়দল,তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন,৩টি শুল্ক ষ্টেশন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,১টি কলেজ ও ছোট ছোট শতাধিক গ্রামের জনসাধারনের চলাচলের এটিই একমাত্র সড়ক। এ সড়কে ভাঙ্গা,ছোঁড়া ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভাল মানের যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও রিক্সা,টমটম,ঠেলাগাড়ি ও মটর সাইকেল চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনেই গঠছে নানা রকমের দূর্ঘটনা। ৮বছর পূর্বে এ সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য টাকাটুকিয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মান করে ও পাতার গাঁওয়ের সমুখে অপরিকল্পিতি ভাবে ছোট ছোট তিনটি ব্রীজ নির্মান করে। পরে এ অপরিকল্পিতি ছোট ছোট তিনটি ব্রীজকে আবার একত্রে যুক্ত করে। সেই ব্রীজের দু-পাশের সংযোগ মাটি ও পাতাঁরগাঁও এর পূর্ব দিকে সড়কের ২টি স্থানে ও সূর্যেরগাও কিছু অংশে মাটি সড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ফেরী ও ইঞ্জিন চালিত নৌকাই ভরসা। এছাড়াও এ সড়কের পাতাঁরগাঁও থেকে বাদাঘাট যাওয়ার রাস্তাটিও ভাঙ্গা,ছোঁড়া ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
অন্য এ সড়কের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংযোগ রাস্তাটি নিছু থাকার কারনে প্রতি বছর বর্ষায় ডুবে যায় ও বর্তমানে রাস্তাটির ২টি স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে রয়েছে। জরুরী বিত্তিতে কোন রোগীকে যানবাহনে করে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে না। আরো জানাযায়-১৯৯৩সালে এলজিইডি তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কটি নির্মানের উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হয়। পরে প্রতি বছর সংস্কার করার পরে বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে ৮বছর পূর্বে ২০১১-১২অর্থ বছর পযর্ন্ত সড়কের ৬কিলোমিটার কাজ পাকা করা হয়েছে। এর পর আর কোন কাজ হয় নি। সম্পতি এই সড়কে কিছু সংস্কার কজ করা হয়েছে। এত করে লোকজন কোন রখমে চলাচল করলেও মূল সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। ডাঃ হাফিজ উদ্দিন,ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম,সাদেক আলী,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অবিভাবকগনসহ চলাচলকারী সর্বস্তরের জনসাধারন বলেন-এই রাস্তাটি খুবেই গুরুত্বপূর্ন বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সড়কে ভাঙ্গা ছোড়া থাকায় বিভিন্ন প্রকার মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ আর অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে আমাদের সবাইকে। যে সরকার এসেছে তারাই নিজেদের নিয়েই ব্যস্থ থাকে যার ফলে আজও এ সড়কটির দিকে কারোর নজর পরে নি। তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান-খুবেই গুরুত্বপূর্ন তাহিরপুর-বাদাঘাট। এ সড়কটির একাধিক স্থানে ভাঙ্গনের ফলে চলাচলে দূর্ভোগ পোহচ্ছে এলাকাবাসী। বিষয়টি উর্ধবতন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহ লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। আমরা আংশিক সংস্কারের কাজ করেছি চলাচলের জন্য যা না করলেই নয়। এ সড়কটি একনে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র পাঠানো হয়েছিল তা ফেরৎ এসেছে। আবারও পুনরায় প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজ সহ পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান-তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ন সড়ক ভাঙ্গনের কারনে ৪টি ইউনিয়নবাসী কে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জনসাধারনের চলাচলের স্বার্থে এ সড়কটি কে গুরুত্ব সহকারে সংস্কার করা খুবেই প্রয়োজন।