আধুনিক এ সময়ে একজন মডেল-অভিনেত্রীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সত্যিই বিস্ময়কর। একধিক মোবাইল নম্বর। তবুও খোঁজ নেই। কোথাও চেষ্টা করে মিললো না। বলা হচ্ছে দেশীয় শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত-সমালোচিত মডেল অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নির কথা। তিন তিনটি মোবাইল নম্বর তার। একটিতেও পাওয়া যায়নি তাকে। কোথায় আছেন তিন্নি? এমনই প্রশ্ন সবার। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে এক খবরে প্রকাশ হয় তিন্নির দ্বিতীয় বিয়ের কথা। সমসাময়িক সময়ে ‘একই বৃন্তে’ নামের একটি নাটকের মাধ্যমে মিডিয়ায় সরব হন তিন্নি। তবে সেটাই ছিল তার শেষ নাটক। চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওই নাটকে অভিনয়ের পর অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন হয়তো আবার তিন্নিকে পর্দায় দেখা  যাবে। কিন্তু না। বছর মাস গড়িয়ে যায়। ক্যামেরার সামনে আর উপস্থিত হননি তিন্নি। তার নিকটজনদের কাছে জানতে চেয়েও খবর মেলেনি। এরই মাঝে দ্বিতীয় স্বামী আদনান হুদা সাদের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথাও রটে। আর গত বছর এমনই খবরে তোলপাড় ছিল শোবিজ অঙ্গন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছিলেন একসময়ের এই পর্দাকন্যা। তাতে স্বামীর নির্যাতন আর তার সঙ্গে মনোমালিন্যের কথা প্রকাশ করেন তিন্নি। অবশ্য এ নিয়ে পরে আর কোনো আলোচনা না হলেও ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, স্বামীর বাড়ি ছেড়ে মায়ের সঙ্গেই এখন থাকছেন তিনি। এদিকে মুঠোফোনে না পাওয়া গেলেও ফেসবুকে ঠিকই আছেন তিন্নি। তবে তার নতুন কোনো ছবি কিংবা স্ট্যাটাস সেখানে নেই।  উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেন তিন্নি। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই ২০০৯ সালের শেষের দিকে তিন্নি-হিল্লোল আলাদা থাকতে শুরু করেন। বেশ ক’বছর পর তাদের বিচ্ছেদের খবরও বেরিয়ে আসে। নেত্রকোনার মেয়ে এ অভিনেত্রী মডেলিংয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন। ২০০৪ সালে তিনি মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর অসংখ্যা জনপ্রিয় টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। এছাড়া নূরুল আলম আতিকের ‘ডুবসাঁতার’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ও সোহানুর রহমান সোহানের ‘সে আমার মন কেড়েছে’ চলচ্চিত্রগুলোতে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসা কুড়ান তিন্নি।-মানবজমিন

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn