তুরস্কের সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে ঐতিহাসিক গণভোটের ভোট গণনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেসরকারি ফলাফলে সামান্য ভোটের ব্যবধানে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী হয়েছে। প্রায় ৯৫ শতাংশেরও বেশি ভোটার এই গণভোটে ভোট প্রদান করেছেন। বেসরকারি ফলাফলে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৫১.৩৪ শতাংশ এবং ‘না’ পড়েছে ৪৮.৬৬ শতাংশ। স্থানীয় সময়  রাত ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ৯৮.৮২ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে।  ফলে  ২.৬৮ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে ‘হ্যাঁ’ এগিয়ে রয়েছে। আর্টিকেল-১৮ সাংবিধানিক পরিবর্তন নিয়ে রবিবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। রাজধানী আঙ্কারায় ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৪৯.৪৪ শতাংশ এবং ‘না’ ভোট পড়েছে ৫০.৬৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ইস্তাম্বুলে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৪৮.৯৭ শতাংশ এবং ‘না’ ভোট ৫১.০৩ শতাংশ ভোট। দেশটির অন্যান্য প্রদেশেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এই গণভোট নিয়ে দেশটির কুর্দি, পিকেকেসহ কয়েকটি বিরোধীদল ‘না’র পক্ষে তুমুল প্রচারণা চালিয়েছে। এছাড়াও জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ ‘হ্যাঁ’র পক্ষে প্রচারণায় বাধা প্রদান করে। আজকের গণভোটের মধ্যদিয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশটির জনগণের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হবে।

দেশজুড়ে এক লাখ ৬৭ হাজার ১৪০টি ভোট কেন্দ্রে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় এবং অন্যান্য অংশে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। উভয় জায়গায় বিকাল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়লাভ করায় আর্টিকেল-১৮ সাংবিধানিক পরিবর্তন অনুযায়ী, তুরস্কের বর্তমান সংসদীয় পদ্ধতি প্রেসিডেন্টশিয়াল পদ্ধতিতে স্থানান্তরিত হবে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাতিল হয়ে যাবে এবং প্রেসিডেন্ট ব্যাপক নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন। তিনটি বিধানিক সংস্থার কর্তৃত্ব কার্যকরভাবে একটি কার্যনির্বাহী শাখায় ন্যস্ত থাকবে এবং প্রেসিডেন্ট হবেন এই কার্যনির্বাহী শাখার প্রধান। সংসদের অনুমোদন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট মন্ত্রী ও বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন। রাষ্ট্রীয় বাজেট তৈরি এবং সংসদ ভেঙে দেয়ার ক্ষমতাও প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn