‘তুষার গ্রুপে’র সাথে বিরোধে খুন হয় শাবাব-নাহিদ!
পরে শাহবাবের মা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারেন উলয়াইল এলাকার মৃত আকিকুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে আনিসুল ইসলাম তুষার (২৭), শমসের নগর রোডের বাদশা মিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান (২০), পশ্চিম ধরকাপন এলাকার সৈয়দ বুলু মিয়ার ছেলে সৈয়দ সৌমিক (২২), রাজনগর উপজেলার চকিরাই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মুক্তির ছেলে আশফাকুল ইসলাম মাহদী (২০), মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রবাসের শিক্ষার্থী জামিল (১৮), সদর উপজেলার পাগুলিয়া এলাকার আব্দুল মুকিতের ছেলে সনি হায়দার (২০), বেরিচর পশ্চিম বাজার এলাকার ফখরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (২৮), সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী কনক মিয়া (১৮), শহরের মাতার কাপন এলাকার সৈয়দ আবু জাফরের ছেলে প্রতীক হাসান (২০), সদর উপজেলার মোকাম বাজার এলাকার হৃদয় আহমদ (২১), রাজনগরের মহলাল এলাকার আয়ুব হাসানের ছেলে তামিম হাসান (২০), শহরের কোর্ট এলাকার ফাহিম মুনতাসির (২০) সহ আরো ৬-৭ জনকে অজ্ঞাতরা মোহাম্মদ আলী শাবাব ও নাহিদ আহমদ মাহিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ বিষয়ে নিহত শাহবাবের মা সেলিনা রাহমান চৌধুরী বলেন, পরিকল্পনা করেই তুষার গ্রুপ আমার ছেলে শাবাবকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের শাস্তি চাই। আমরা ছেলের দেশের নোংরা ও প্রতিহিংসা রাজনীতির কাছে বলি হয়েছে। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ জানান, নিহত শাহাবাবের মা সেলিনা রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে ১২ জন ও আরো অজ্ঞাত ৬-৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত রুবেল, কনক ও জামিল এজহার ভূক্ত আসামী। আদালত এদের ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে। রিমান্ডে এরা ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল তবে হত্যার সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করছে। বাকি আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।