আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান এবার তৃতীয় বিয়ের ব্যাপারে নীরবতা ভাঙলেন। গত তিনদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমরানের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেট তারকা টুইটারে একাধিক টুইট করেন। তার বিয়ের গুজব ছড়ানোর পেছনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রধান নওয়াজ শরীফ জড়িত বলে অভিযোগ করেন ইমরান। টুইটে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে জঘন্য এ প্রচারণা নওয়াজ শরীফ ও মীর শাকিল-উর-রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে। এতে তিনি বিরক্ত নন বলেও জানান। ইমরান খান বলেন, গত তিনদিন ধরে আমি বিস্মিত। আমি কি কোনো ব্যাংক লুট করেছি? অথবা দেশের সম্পদ চুরি করে মানি লন্ডারিং করেছি? অথবা মানুষ হত্যা করে মডেল টাউন গড়েছি? অথবা রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ভারতের কাছে দিয়ে দিয়েছি? আমি এসবের কিছুই করিনি। তবে মনে হচ্ছে, বিয়ে করতে চেয়ে বড় ধরনের এক অপরাধ করেছি।

imrankhan

ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খান অপর এক টুইটে বলেন, এ গুজবে তার সন্তানদের নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে যাকে ঘিরে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সেই বুশরা বেগমের পরিবারের ব্যাপারেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি শরীফকে গত ৪০ বছর ধরে চিনি। আমি তার ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছুই জানি। কিন্তু তার এসব ঘটনা কখনোই বিস্তারিত প্রকাশ করবো না। এদিকে, নওয়াজ শরীফ বলেছেন, তিনি কখনোই অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাননি। তবে ইমরান খান যদি বিয়ে করে থাকেন, তাহলে তা প্রকাশ এবং স্বীকার নেয়া উচিত তার।

imrankhan

রোববার পিটিঅাই এক বিবৃতিতে জানায়, বুশরা মানেকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ইমরান খান। তবে অত্যন্ত সংরক্ষণশীল পরিবারের এ নারী তার বিয়ের প্রস্তাবে এখনো সাড়া দেননি। সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বুশরা। ৪০ বছর বয়সী মানেকা পাকিস্তানের ওয়াত্তু উপজাতির। এর আগে ইসলামাবাদের জ্যেষ্ঠ কাস্টমস কর্মকর্তা খাওয়ার ফরিদ মানেকাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সূত্র : ডন।

‘ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনীতির সানি লিওন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবং রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানকে পাকিস্তানের রাজনীতির সানি লিওন হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির সিনেটর মুশাহিদুল্লাহ খান। এক নারী ধর্মগুরুকে ইমরান খান বিয়ে করেছেন, এমন খবরের প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।সিনেটর মুশাহিদুল্লাহ খানের মতে, বলিউডে সানি লিওন যেমন একের পর এক স্ক্যান্ডাল সৃষ্টি করে সবসময় আলোচনায় থাকেন তেমনি ইমরান খানও নতুন নতুন স্ক্যান্ডালের জন্ম দিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আলোচিত হন। বুশরা মানেকা নামে ৫০ বছর বয়সী এক নারী ধর্মগুরুর কাছে আধ্যাত্মিক পরমার্শের জন্য প্রায়ই যেতেন ইমরান খান। গত শনিবার (৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে খবর রটে যে এই বুশরা মানেকাকে তৃতীয় বউ হিসেবে বিয়ে করছেন ইমরান খান। ফলে ইমরান খানকে নিয়ে নতুন করে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। অনেকে তীর্যক মন্তব্য করতে থাকেন। গত ৮ জানুয়ারি ইমরান এ বিষয়ে মুখ খোলেন। ইমরান বলেন, বিয়ে সেরে ফেলেননি, শুধুমাত্র বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, বুশরা মানেকা নামের একজনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার। কিন্তু কনে এখনও ‘হ্যাঁ’ বলেননি। সময় চেয়েছেন তার পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য।

ইমরানের পক্ষ থেকে আসা বিবৃতিতে ছড়িয়ে পড়া বিয়ের খবর নিয়ে বলা হয়েছে, এটা খুবই ব্যক্তিগত বিষয়। এভাবে তা সংবাদ মাধ্যমে চলে আসা ভালো নয়। বুশরা মানেকা খুবই সাধারণ মানুষ। তিনি কোনো সেলিব্রিটি নন। এটা খুব সংবেদনশীল বিষয় যে দু’জনেরই সন্তানরা বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন। যখন মানেকা প্রস্তাব গ্রহণ করে নেবেন, স্বয়ং ইমরান খানই সেই খবরটি সবাইকে জানাবেন। ৪০ বছর বয়সী মানেকার আরেকবার বিয়ে হয়েছিল। ইসলামাবাদের এক কাস্টমস অফিসারের সঙ্গে সে বিয়ে টেকেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বললে তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ৬৬ বছর বয়সী ইমরান। যদিও গত ১ জানুয়ারি লাহোরে তারা বিয়ে সেরে ফেলেছেন বলেই খবর বেরিয়েছিল। ইমরানের প্রথম স্ত্রী ছিলেন জেমিমা খান। ১৯৯৫ সালে দু’জনের বিয়ে হয়েছিল। যে বিয়ে ভেঙে যায় ২০১৪ সালে। ২০১৫ তে এসে রেহাম খানকে বিয়ে করেন ইমরান। সেই বিয়েও টেকেনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn