দই টক হয়ে গেছে। খাওয়ার টেবিলে এ নিয়ে বর ও কনের পক্ষে মধ্যে গণ্ডগোল, হাতাহাতি। সালিস করে বিষয়টির মীমাংসা হয়। পরদিন আবার এ নিয়ে কটু কথা শুনতে হয় কনের বাবাকে। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারান। পরিবারের অভিযোগ, কনের বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কসবা থানায় লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার ২৪ ঘণ্টায়ও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার। মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গণকমোড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেল ইকবাল হোসেন (৫০)। মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে হয় ও পরদিন তিনি হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমার সঙ্গে পাশ্ববর্তী বিষ্ণাউড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ মিয়ার বিয়ের দিন ধার্য ছিলো মঙ্গলবার। বরযাত্রী আসতে দেরি হওয়ার তাদের খাবার আলাদা করে রাখা হয়। খাওয়ার সময় বরযাত্রীদের পক্ষ থেকে দই টক হওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে মীমাংসাও করা হয়। বুধবার রাতে গ্রামের বাজারে আবারো এ নিয়ে কটু কথা শুনতে হয় কনের বাবা ইকবাল হোসেনকে। এ সময় ইকবাল হোসেনকে বর পক্ষের লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর ভূঁইয়া জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তির হার্টে রিং বসানো। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে মারধর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১০০ বার