দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা জয়কলস ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য পুষ্প বেগমের বিরুদ্ধে স্থানীয় ওয়ার্ডবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার (০৮ মে) দুপরে আসামপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ছমাদ মিয়া তালুকদার ও গুলজার আলী অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানায়- অকাল বন্যায় ভেসে গেছে ফসল। গৃহস্থ থেকে শুরু করে সাধারণ কৃষক কাহারো ঘরে নেই খাবার। কেনার মতো সাধ্য না-থাকায় সরকারি ত্রানের লাইনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে চালও পাচ্ছেনা। হাওরাঞ্চলে কৃষকের কোন কাজ নেই। সবাই এখন বেকার। হাওরের পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে মাছও মরে বংশ বিস্তার বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে হাওরের জেলেরাও মাছ পাচ্ছে না। এখন হাওরাঞ্চলের প্রতিনিয়ত পরিবারে চলছে খাবারের জন্য হাহাকার।

অকাল বন্যায় ফসলহারা কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার সারাদেশে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি ওএমএস, জিআর, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্যক্রম চালু করেছে। কৃষকদের নগদ ৫শ’ টাকা ও ৩৮ কেজি চাল বিতরণে কৃষকদের সহায়তা কার্ড চলতি মাসে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পুষ্প বেগমের নামে কৃষি সহায়তা কার্ড ৯০টি বরাদ্দ দিলে ইউপি সদস্যা পুষ্প বেগম আসামপুর গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের কৃষকদের মাঝে বিতরণ না-করে নিজের পরিচিত ও নিকটাত্মীয় স্বজনদেরকে কৃষি সহায়তা কার্ড বিতরণ করেন। এতে আসামপুর গ্রামের শতাধিক দুস্থ কৃষকদের মধ্যে সাহেব আলী, গুলজার আলী, আব্দুল কাহার, শেফালী বেগমসহ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর কবিরের অফিসে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। ইউপি সদস্যা পুষ্প বেগমের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান- আমি কোন স্বজনপ্রীতি করিনি। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর কবির ইউপি সদস্যা পুষ্প বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn