দলের ‘কাউয়া’-দের তালিকা করবে আ.লীগ
উৎপল দাস।।
আওয়ামী লীগে ‘কাউয়া’ ঢুকেছে বলে বেশ কয়েকবার দাবী করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সব খাঁটি মানুষ, খাঁটি কর্মী! ভেতরে ভেতরে কাউয়া (কাক) আছে। তারা একাত্তরেও ছিল, এখনো আছে। ক্ষমতার সঙ্গে কাউয়া ঢুকে যায়। আর কিছু কিছু নেতা দল ভারী করার জন্য কাউয়াদের লিস্টের মধ্যে নাম ঢুকিয়ে দেয়।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দু’দফা ‘কাউয়া’ নিয়ে নিয়ে কথা বলার পর দলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে ‘কাউয়া’ অর্থাৎ হাইব্রিড ও সুযোগ সন্ধানী নেতাদের তালিকা করে তাদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ‘কাউয়া’ বলতে দলের সাধারণ সম্পাদক হাইব্রিডদেরকেই বুঝিয়েছেন। এসব হাইব্রিড নেতারা সময় বুঝে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে। এমন একটি তালিকা প্রস্তুত করার নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। এমনকি হাইব্রিড নেতাদের গত ৮ বছরে দলের জন্য কি কি অবদান এবং নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কী উন্নয়ন হয়েছে, অথবা তার পরিবারের সদস্যরা রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে কী কী সুবিধা আদায় করেছেন সে বিষয়গুলোও প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে।
কবে নাগাদ এই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হতে পারে বলে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছেন। এসব হাইব্রিডদের জন্য আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত নেতাকর্মীরা দলে কোণঠাসা। ফলে আগামী নির্বাচনে আগে দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হাইব্রিড বা কাউয়াদের বহিষ্কারও করা হতে পারে। এর আগে রাজধানীর লালবাগের আজাদ মাঠে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এবং ২২ মার্চ সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় কাউয়া কারা, এর একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। ওই প্রতিনিধি সভায় কাদের বলেন, ‘প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী দরকার নেই।’