দায়িত্ব নেওয়ার ৩ ঘণ্টার মাথায় ফের বরখাস্ত মেয়র আরিফ
দায়িত্ব নেওয়ার ৩ ঘণ্টার মাথায় ফের বরখাস্ত হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে পদ ফিরে পেয়ে রবিবার সকালে মেয়রের চেয়ারে বসেছিলেন আরিফুল হক। দুপুরে তাকে আবার বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সিসিক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম সিলেট সিটি করপোরেশনে দুপুরে একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা-৪/২০০৯ এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে। সেহেতু সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯ এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে আটক থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান আরিফুল হক। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে ২৭ মাস পর তিনি রবিবার সকালে মেয়রের চেয়ারে বসেন। এর আগে, বিএনপি দলীয় এ মেয়রকে নেতাকর্মীরা নগরীর কুমারপাড়ার বাসা থেকে শোডাউন দিয়ে সিটি করপোরেশনে নিয়ে আসেন। ২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে হবিগেঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি হিসেবে তিনি। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান। এই মামলায় অভিযোগপত্রে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম আসার পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে সেই বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্ট। গত ২৩ মার্চ সেই আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও। গত ৩০ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে আদালতের আদেশের যথাযথ প্রতিফলনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। এ পত্র প্রাপ্তির তিন দিন পর আরিফুল হক চৌধুরী মেয়রের চেয়ারে বসেন এবং তিন ঘণ্টা পর আবার বরখাস্ত হন।