দিরাই  :: দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের জয়কৃষ্ণ দাসের ছেলে ব্যবসায়ী জীবন দাস (২৮) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলার ধাইপুর গ্রামের সুজন মিয়ার পুত্র লুকু মিয়া ও দক্ষিন সুরিয়ারপাড় গ্রামের ছিদ্দেক মিয়ার পুত্র ওয়াহিদ মিয়া। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জীবন দাস হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ বোয়ালিয়া বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে । জানা যায়, বিগত ২৬ মে গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া বাজার থেকে ডেকে নিয়ে জীবন দাসকে খুন করে ঘাতকরা তার লাশ নদীতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ২ জুন জীবন দাসের মৃতদেহ বিবিয়ানা নদীতে ভেসে উঠে। জীবন দাসের লাশ পাওয়ার ২ দিন পর ৪ জুন তার বড় ভাই লিটন দাস বাদী হয়ে কুলঞ্জ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে পুর্বাঞ্চলের ত্রাস একাধিক মামলার পলাতক আসামী রাজন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু ও অধিকতর তদন্তে মামলাটি সিআইডিতে প্রেরন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর আশরাফুজ্জামান বলেন, জীবনদাস হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে লুকু মিয়া ও ওয়াহিদ মিয়াকে বোয়ালিয়া বাজার থেকে আটক করা হয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, মামলার তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলে চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা হবে।  স্থানীয়রা জানান, এলাকায় অপরাধ জগতের গডফাদার হিসেবে পরিচিত লুকু মিয়া। লুকু, ওয়াহিদা ও ঘাতক রাজন এবং তার বাহিনীর লোকজন এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। লুকু মিয়া মিয়া এলাকায় জোরপুর্বক অন্যের জায়গা জমি দখল ও দাদন ব্যবসা করে শুন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। ধাইপুর গ্রামের জবান উল্লা’র মেয়ে সফই বেগম দাদনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাকে বাড়ি ছাড়া করেছে লুকু মিয়া। তাদের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিতে হয় তরুন ব্যবসায়ী জীবন দাসকে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn