বার্তা ডেস্ক: দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে, যারাই এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকুক না কেন আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় মনে করি, যখনই কোনো দুর্নীতি বা অন্যায় কাজ হবে তখনই আমাদের এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ রোববার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি ও সামাজিক অসংগতির বিরুদ্ধে রিপোর্ট সরকারকে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদের দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ দলের কেউ হলেও ছাড় দেয়া হচ্ছে না। দুই যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত করে রজতজয়ন্তী উদযাপন করছে প্রতিবেদকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। এ আয়োজনের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীন গণমাধ্যমের বিকাশ ও সংবাদপত্রের সঙ্গে জাতির পিতার সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সমালোচনা করেন, পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারগুলোর। ‘কখনও কখনও এর মাধ্যমে মনে হতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার সব দুর্নীতি করছে। এটি সত্য নয়। দুর্নীতির বীজ ১৯৭৫ সালের আগস্টের পরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা সরকারদের দ্বারা রোপণ করা হয়েছিল,’ বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করে বলেন যে তারা কেবল দুর্নীতি লালনই করেননি, তারা দুর্নীতির সাথে জড়িতও ছিলেন। ‘তবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার কখনই তা করেনি। যখনই আমরা কোনো দুর্নীতি পাচ্ছি, সেই ব্যক্তি যেই হোক না কেন বা দলের যত বড় পদেই থাকুক না কেন আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি,’ বলেন তিনি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রেখেছে। ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অনড়, আমরা হলি আর্টিজান ঘটনা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মোকাবিলা করেছি। অনেকেই মনে করেছিল যে বাংলাদেশ একাই বিষয়টি সামলাতে পারবে না,’ তিনি বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করেছে কারণ সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কিছু অর্জন সম্ভব নয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

ডিআরইউ এর সাবেক সভাপতি ও রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদারের সভাপতিত্বে, ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ, ডিআরইউ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী ও ডিআরইউ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অন্যদের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn