দেশে গত এক দশকে কোটিপতি বেড়েছে চারগুণ
বার্তা ডেস্ক:: দেশে গত এক দশকে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চারগুণ। এই সময়ে দেশে প্রতিবছর গড়ে ৫ হাজার ৬৪০ জন কোটিপতি হয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত আমানতকারীর হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কোটিপতি আমানতকারী ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন, ২০০৮ সালে যা ছিল ১৯ হাজার ১৬৩ জন। হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কোটিপতি আমানতকারীর তালিকায় যোগ হয়েছেন প্রায় ৫৬ হাজার ৪০০ জন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে এ সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ১৬৩ জন। পাঁচ বছর পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বর শেষে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৪৭৭-এ। এই সময়ে গড়ে প্রতিবছর কোটিপতি আমানতকারী বাড়ে ৬ হাজার ৯৫ জন। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে কোটিপতি আমানতকারী হন ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২৫ হাজার ৯২৩। গড়ে প্রতিবছর কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৫ হাজার ১৮৪ জন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএ তসলিম বলেন, শুধু আমানতের ওপর ভিত্তি করে কোটিপতির সংখ্যা বের করা সম্ভব নয়। অনেকে কালো টাকা নিশ্চয়ই ব্যাংকে রাখবেন না। তবে দেশে যে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর সার্বিক চিত্র বোঝা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কোটিপতি বৃদ্ধি পাওয়া আশঙ্কাজনক। সম্পদের সুষম বণ্টন না হওয়ায় এমনটা হতে পারে। আর কোটিপতি বৃদ্ধি হলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর আমানতের পরিমাণ ছিল ৭৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। তখন মোট আমানতের ৩১ শতাংশ ছিল কোটিপতিদের। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীর আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে কোটিপতি আমানতকারীর অর্থের পরিমাণ বেড়ে হয় ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে কোটিপতি বেড়েছিল ১৪ হাজার ১ জন। এই সময়ে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার জন করে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ে। সুত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়