দু’দিনের বিরতির পর মঙ্গলবার রাত থেকে আবারো ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি ও খাসিয়ামারাসহ হাওর খালবিল ও মাঠঘাটে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একটুখানি স্বস্তির পর আবারো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অতিবর্ষণ আর আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার তোড়ে পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার আতংকে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন উপজেলার শত শত মৎস্যচাষী।
কেননা গত বছরের পরপর চার দফা বন্যায় কোটি কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন তারা। বুকভরা আশা নিয়ে সেই ক্ষতি পুসিয়ে নেয়ার আশায় চড়া সুদে মহাজনী ঋণ নিয়ে এবারও মাছের চাষ করেন তারা। বর্তমানে একেতো কঠোর লকডাউনের জ্বালা, অপরদিকে বন্যার অশনি সংকেত- এ যেন ‘মড়ার উপর খাড়ার গা।’
এদিকে রাস্তা, মাঠঘাট ও গোচারণ ভূমি বারবার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুপক্ষি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। অপরদিকে, অধিকাংশ বীজতলার পানি সরে না যাওয়ায় বীজ বপন বিলম্বিত হওয়ায় রোপা আমনসহ আগামি অগ্রহায়নী ফসল উৎপাদন অনিশ্চিতের আশংকাও করছেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। বন্যার উপদ্রব পর্যবেক্ষণে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। স্ব স্ব এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে তৎপর রয়েছেন।