সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক ইউপি সদস্য কর্তৃক নিরীহ গ্রামপুলিশের সংসার ভাঙার অভিযোগ ওঠেছে। সোমবার বিকালে উপজেলার পূর্ব বাংলাবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ জামাল উদ্দিন। তিনি ওই ইউনিয়নের ঢালিয়া (কলাউরা) গ্রামের বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে জামাল উদ্দিন বলেন, “মাসকয়েক আগে ভূল বোঝাবুঝির কারণে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারের সাথে আমার ঝগড়া-ঝাটি হয়। আর ওই ঘটনাকে পূঁজি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রায়হানুল ইসলাম রবিন আমাকে দিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করায়। এ সময় মামলার খরচপাতি বাবদ আমার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন তিনি। ওই টাকার দেনা পরিশোধ করতে এখন আমার একমাত্র সহায় সম্বল বসতভিটাটুকু পর্যন্ত বিক্রি করেছি।শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি রবিন মেম্বার। তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে এখন আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন।
প্রবাসে থাকা আমার স্ত্রীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে আমার সংসার ভাঙার পাঁয়তারা করছেন। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রী আমাকে জানায়, সে আমাকে ত্যাজ্য করে রবিন মেম্বারের সাথে চলে যাবে। এদিকে রবিন মেম্বার আমাকে এই বলে হুমকি দিচ্ছেন যে, আগামি নির্বাচনে তার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন বিজয়ী হলে আমার আত্মীয়স্বজনসহ আমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেবেন। আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতাসহ আমার সংসার ভঙ্গের আশঙ্কা করছি। আমার জানমাল ও সংসারের নিরাপত্তা চাই।” জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রায়হানুল ইসলাম রবিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’