দোয়ারাবাজার::দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একাদশ শ্রেণিতে নীতিবহির্ভুত ভাবে আদায়কৃত অতিরিক্ত ভর্তি ফি ৭ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা। জানা যায়, দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করে থাকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে সভা করেন। সভায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অবহিত করতে তাদেরকে নির্দেশ দেন তিনি। এবারের বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও পরপর তিনদফা বন্যা কবলিত এলাকাজুড়ে কলেজে ভর্তি ফি বাবদ বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে প্রস্চাদপদ এলাকার শিক্ষার্থীদের। বোর্ড নির্ধারিত উপজেলা পর্য়ায়ে সর্ব সাকুল্য ১হাজার টাকা নেয়ার জন্য নির্দেশ থাকলেও তা মানছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন কলেজে বিভিন্ন হারে ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজে ফরমপ্রতি ২শ’ টাকাসহ ২ হাজার ২শ’ টাকা, সমুজ আলী স্কুল ও কলেজে ফরমের ১শ’ টাকাসহ ২ হাজার ৬শ’ টাকা, লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজে ফরমের ১শ’ টাকাসহ ৩ হাজার ১শ’ টাকা, বড়খাল স্কুল ও কলেজে ফরমের ১শ’ টাকাসহ ২ হাজার ৬শ’ টাকা, ঘিলাছড়া স্কুল ও কলেজে ফরমের ১শ’ টাকাসহ ২ হাজার ৫শ’ টাকা এবং বগুলা রোসমত আলী রামসুন্দর স্কুল ও কলেজে নেয়া হচ্ছে ফরমপ্রতি ১শ’ টাকাসহ ৩ হাজার ৬শ’ টাকা করে। একমাত্র প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে ফরমের টাকা সহ ১ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপরোক্ত হারে ফি পরিশোধ করে ভর্তি হয়েছে ১১৫ জন শিক্ষার্থী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, ‘ভর্তি ফি ও উন্নয়ন ফিসহ সর্বসাকুল্য ২ হাজার ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিশোধিত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে অধ্যক্ষদের বলা হয়েছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৫৩ বার