তাজুল ইসলাম-দীর্ঘ তিনযুগ ধরে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। সহসা ঘটতে পারে অনাকাঙ্কিত দুর্ঘটনা। নতুন ভবনে উঠতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে ১২শ’ শিক্ষার্থী। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতাতায় নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়নি নির্মাণকাজ। আলোচিত প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ঘিলাছড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
১৯৭৭ সালে নির্মিত ওই প্রতিষ্ঠানের পুরাতন ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে বেরিয়ে আছে রড। দেয়াল ফেঁটে ফাঁকা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি ঢুকছে অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষের ভেতরে। এতে সারাক্ষণ শঙ্কিত থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে দীর্ঘ আটারো মাস পর সরকারি নির্দেশনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার অপেক্ষাকৃত কম। তিন বছরেও নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে তাদের সরিয়ে নিতে দাবি জানিয়েছে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীরা। দশম শ্রেনীর ছাত্র দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্লাস সেভেন থেকে অপেক্ষায় আছি নতুন ভবনে অধ্যয়ণের আশায়।’ দশম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সারমিন আক্তার বলেন, ‘শিক্ষা অর্জন করতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবন থেকে নিরাপদ ভবনে আমাদের দ্রুত স্থানান্তরের দাবি জানাই।’
স্থানীয় বাসিন্দা সমাজসেবক আবিদ রনি জানান, ‘একযুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। সহসা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে এ দায়ভার কারা নেবে? শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ অবস্থার দ্রুত পরিত্রাণ চাই।’ প্রতিষ্ঠান প্রধান সানুর আলী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে নির্মিত ভবনগুলোতে ফাঁটল দেখা দিয়েছে কয়েক বছর আগেই। এতে আতঙ্কে চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানাই।’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোয়াজ্জিন এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, বৃষ্টিবাদলসহ নানা কারণে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে বিলম্বিত হয়েছে। এখন চলছে প্লাষ্টারিংয়ের কাজ। আগামি একমাসের মধ্যে ভবনটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৬০ বার