দোয়ারাবাজারে বিআরডিবি’র প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
বার্তা ডেক্স :: বিআরডিবি দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর প্রথম দফা দোয়ারাবাজারে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পে যোগদান করেন শাহিনুর রহমান। যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ২০০৮ সালের ৩ মার্চ অন্যত্র বদলি হন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিআরডিবি দোয়ারাবাজার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে পুণরায় যোগদান করেন শাহীনুর। দ্বিতীয় দফা যোগদানের পর কিছু অসাধু কর্মকর্তাসহ কতিপয় বখাটে যুবকের যোগসাজশে দোয়ারাবাজার বিআরডিবি অফিসকে ঘুষের রাজত্ব কায়েম করেছেন প্রকল্প কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান। ঘুষ ছাড়া মিলছেনা ঋণ। এলাকাব্যাপি রয়েছে তার সুদ ব্যবসার বিশাল নেটওয়ার্ক। দারিদ্র্যতাকে কাজে লাগিয়ে ওই অফিসের কলিগ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে চড়া সুদে ঋণ দিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন তিনি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয় মুরাদপুর সমিতির অধিকাংশ সদস্যই ঋণের বিষয়ে কিছুই জানেননি বলে অভিযোগ করেন। বছর পেরিয়ে গেলেও অনেকে পাশবই পাননি। পাশবই ছাড়াই চলছে লেনদেন। সমিতির নতুন সদস্যরা জানান, তারা পাশবই পাননি, তাদের শেয়ার সঞ্চয়ও জমা হয়নি। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, মুরাদপুর সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজারের সাক্ষর ছাড়াই ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে সমিতির বকেয়া পরিশোধ বাবদ অসাধু পন্থায় সমিতির ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন আলোচিত প্রকল্প কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, বছরজুড়ে এমনিভাবে সব সমিতিতে রিকভারী ১০% হারে করে থাকেন তিনি। পরবর্তীতে অন্যের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজের পকেট ভারি করেন। শুধু মুরাদপুর সমিতিই নয়, উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও সমিতির সদস্য সমরুন মারা গেলে তার পরিশোধকৃত ৯ হাজার টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন প্রকল্প কর্মকর্তা শাহীনুর।
জানতে চাইলে বিআরডিবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সকল অভিযোগ মিথ্যা। এমনিতেই এসব অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে।’ তবে সমিতির নতুন সদস্যদের পাশবই ও নোয়াগাঁও সমিতির মৃত ব্যক্তির পরিশোধকৃত ৯ হাজার টাকার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। সমিতির আয়ব্যয় ও ব্যাংক স্টেটমেন্টের বিষয়েও কোনো সদুত্তর দেননি তিনি। এব্যাপারে সুনামগঞ্জের বিআরডিবি’র উপপরিচালক রাশিদুল মামুন চৌধুরী জানান, এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এবিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করা হবে।