সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পাকা সড়কের বেহাল দশায় দীর্ঘদিন ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার নরসিংপুর, বাংলাবাজার ও বগুলা ইউনিয়নের লাখো জনতা। আর কদাচিৎ কোনো ভগ্নদশা রাস্তার অংশ বিশেষ সংস্কারের নামে অবৈধ অর্থ লোপাটের টার্গেটে নীতিবহির্ভূত যেনতেন কাজ করা হয় যা অল্পদিনের মাথায় আবারও একই হাল। তবুও স্থায়ীভাবে মেরামতের কোনো উ্দ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পক্ষান্তরে চলমান জনজীবনে শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের তাগিদে প্রতিনিয়তই রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহর সিলেটসহ দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে সড়কপথ।
এক্ষেত্রে দোয়ারাবাজারের নরসিংপুর-নোয়ারাই, বাংলাবাজার-নোয়ারাই ভায়া বালিউরা, নরসিংপুর- বাংলাবাজার এ তিনটি পাকা সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় গর্ত। তাই বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যান চলাচল করছে এসব সড়কে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে প্রথমোক্ত দুটি সড়কের নির্মাণকাজ করা হয়েছিল। পরবর্তী তত্বাবধায়ক সরকার আমলে সড়কটির সংস্কারকাজ করা হয়। ২০১৭ সালে বর্তমান সরকারের আমলে দ্বিতীয় বারের মতো সড়কটির সংস্কার কাজ করা হলেও নিম্নমানের কাজে বেশিদিন টিকেনি সড়কের কার্পেটিং। বিশেষত নরসিংপুর-নোয়ারাই সড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দৃশ্যমান শতাধিক খানাখন্দ। তা ছাড়া অধিক জনগুরুত্বপূর্ন ওই সড়ক দুটি দীর্ঘ একযুগ ধরে পরিপূর্ণ মেরামতের অভাবে সম্প্রতি নেমে এসেছে চরম জনদূর্ভোগ ।
২০২০ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় চেয়ারম্যানবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে দুর্দশাগ্রস্থ এসব রাস্তার সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়। বিধি বাম! এযাবত পূর্ণাঙ্গ কোনো পদক্ষেপ গ্রহন না করায় হতাশার প্রহর গুনছেন তিন ইউনিয়নবাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা দেবতোষ পালের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।