দোয়ারাবাজারে সরকারি পুকুরে মাছ লুটের অভিযোগ
দোয়ারাবাজার::দোয়ারাবাজারে সরকারি পুকুরে মাছলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের করালিয়া গ্রামের সরকারি পুকুরে। জানা যায়, এলাকাবাসীর স্বার্থে করালিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি এক একর ভূমিতে ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পুকুর পুণ: খনন /সংস্কার প্রকল্প জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুকুর খনন করে পুকুরপাড়ে সারিবদ্ধভাবে ১০ টি পানির ট্যাংক বসানো হয়েছে। ওই ট্যাংকে ধারণকৃত বৃষ্টির বিশুদ্ধ পানি পুকুরে জমা হলে সেই বিশুদ্ধ পানি এলাকাবাসী ব্যবহার করতে করে থাকেন। সম্প্রতি করালিয়া গ্রামের সৈয়দ মীর নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি পুকুর লিজ এনেছেন বলে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে কোনাজাল দিয়ে ওই পুকুরের প্রায় ১৫-১৬ হাজার টাকার মাছ লুটে নেন তিনি। এতে পুকুরের পানি কাঁদামাটিতে ঘোলাটে হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। অথচ ওই পুকুরে গোসল করা, হাত-পা ধোয়া, মাছচাষ, মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে পুকর পাড়ের সরকারি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই পুকুরপাড় পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক ফজর আলী বলেন, আমাদের গ্রামের প্রভাবশালী সৈয়দ মীরকে গ্রাম পঞ্চায়েতের দোহাই দিয়ে বিশাল কোনাজাল দিয়ে সরকারি পুকুরে মাছ মারতে আমি নিষেধ করি। আমার নিষেধ বাধা উপেক্ষা করে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, আমি জেলা পরিষদ থেকে টাকার বিনিময়ে পুকুরটি লিজ এনেছি, তাই মাছ মারতে এসেছি।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সৈয়দ মীর বলেন, আমি মাছ ধরেছি তা সঠিক। তবে আমি পুকুরটি লিজ আনতে জেলা পরিষদ বরাবরে লিখিত দরখাস্ত জমা দিয়েছি। এখনও লিজ পাইনি, আশাকরি ইতিমধ্যে পেয়ে যাবো। এ ব্যাপারে দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু বলেন, সৈয়দ মীর সরকারি পুকুরে অবৈধভাবে কোনাজাল দিয়ে মাছ ধরেছেন বলে শুনেছি। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাবোধ করবোনা।