বার্তাডেক্সঃ দোয়ারাবাজারে টাকা চুরির অপবাদে কামরুল হাসান মারুফ (১৫) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে (ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ’র তথ্য মতে) আসামি আবদুল আহাদকে দীর্ঘ দেড়মাস পর শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে আটক করেছে পুলিশ।তিনি ওই উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চাইরগাঁও গ্রামের মৃত মশ্রব আলীর ছেলে। এখনো অধরা রয়ে গেছে একই গ্রামের হরুপ আলী ও জায়েদ আলীসহ গং আসামিরা। নির্যাতিত মারুফ পার্শ্ববর্তী পূর্ব চাইরগাও গ্রামের দিনমজুর সফিক মিয়ার পুত্র।
এদিকে মামলা দায়েরের ১৫ দিন পর প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ (৩২) আটক হলেও অদৃশ্য কারণে ১৫ দিনের মাথায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। তিনি একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে। নির্যাতিত মারুফের বাবা সফিক মিয়া বলেন, “ছেলের উন্নত চিকিৎসা করানোতো দূরের কথা পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত দুমুঠো অন্নই যোগাতে পরছিনা। সুচিকিৎসার অভাবে বর্তমানে আমার ছেলে মারুফের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতিতে আধপাগল অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটছে।”
উল্লেখ্য, মামলার বিবরণ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কামরুল হাসান মারুফ (১৫) কে বাড়ির সামনে আমগাছে রঁশি দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে প্রকাশ্যে হাত -পা বেঁধে নির্যাতন করে আসামীরা। এসময় নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মারুফের বাবা সফিক মিয়া ছেলের অমানুষিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও) এস আই পান্নালাল দেব বলেন, ভিডিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সনাক্তকৃত আসামি আহাদ আলীকে আটক করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৩৮ বার