দোয়ারায় ছাত্রলীগের এক কমিটিতেই যুগ পার
পয়লা এপ্রিল ২০০৬ তারিখে দুই বছরের জন্য সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তনুজ কান্তি দে ও সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জল।এই কমিটিতে সভাপতি আনোয়ার হুসেন‚ সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ ইমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছিলো সুহেল আহমদকে। কমিটি গঠনের প্রায় এক যুগ পার হলেও দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ আর নতুন নেতৃত্বের মুখ দেখেনি। যদিও ওই কমিটির সভাপতি আনোয়ার হুসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ ইমন বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল আহমদ একটি এনজিও তে চাকরি করছেন এবং যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম।
এছাড়া দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের নাম ও পদবি ব্যবহার করে অবৈধভাবে বিভিন্ন ইউনিট কমিটি অনুমোদন দিচ্ছেন বলে জাহাঙ্গীর আলম ও আইনুল হক নামের দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়‚ কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি ও আইনুল হক সাধারণ সম্পাদকের পদ ব্যাবহার করছেন।এব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা একরামুল হোসেন সোহেল জানান‚ বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ ব্যবসা‚ চাকুরী ও অন্য সংগঠনের সাথে জড়িত থাকায় আমরা কোনো পদ পদবি ছাড়াই ছাতক-দোয়ারাবাজারের মাননীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ভাই ও সিলেটরত্ন এস এম জাকির হোসেন ভাই এবং সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী ভাইয়ের নেতৃত্বে দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে যাচ্ছি। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের নাম এবং অবৈধ পদবি ব্যবহার করে নেতৃবৃন্দকে ভিব্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমানে কোনো কমিটি আছে কি না এব্যাপারে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী জানান‚ যেহেতু জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ও সম্পাদক দুই বছরের জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন তাই বর্তমানে দোয়ারাবাজার উপজেলায় বৈধ কোনো কমিটি নেই। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে এতদিন দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। যদিও শেষ মুহুর্তে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিলো পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় আর কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি।