‘দোয়ারা: উপজেলা চেয়ারম্যানকে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হবে’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরাটিলায় এলজিএসপির ব্যাগ ও বয়স্কভাতা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে সরকার দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা: আব্দুর রহিম বলেন, সম্প্রতি ২০ কোটি টাকার বরাদ্দ আসলে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের কাছে ছদকায়ে জারিয়া হিসাবে আমার উপজেলার উন্নয়নকাজে কিছুটা বরাদ্দের দাবি জানালে তিনি নিশ্চুপ থাকেন। যদি ভোটের এমপি হতেন তাহলে জনগনের কাছে দ্বায়াবদ্ধ থাকতেন। তাই আওয়ামীলীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ভোট দিলেও এমপি, না দিলেও এমপি থাকবেন। নরসিংপুর ইউনিয়নকে ইঙ্গিত করে ইউপি চেয়ারম্যানদের ‘ফকিন্নীর পুত’ আখ্যায়িত করে বলেন, ফকিন্নীর পুতরা চেয়ারম্যান মেম্বারিতে কেনো আসবে। আরও বলেন, যে কোনো উন্নয়নকাজে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমোদন নিতে হবে মর্মে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসলে ইউএনওসহ চেয়ারম্যানদের চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়। কিন্তু ইউএনও মহোদয় চিঠিখানা পাচার (পুটকির) নিচে রেখে দেন। এ ছাড়া স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলকে তিনি গনতান্ত্রিক সরকার হিসাবে আখ্যায়িত করেন। কেননা এরশাদ সরকারের আমলে তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজ দলীয় (সরকার বিরোধী)সহ এসব বিতর্কিত বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা খুশি হলেও বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়াতে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষজন ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। বিষয়টি বর্তমানে ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলায় মুখরোচক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলা অডিটোরিয়ামে ওই বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে আকস্মিক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা: আব্দুর রহিম উপস্থিত হয়ে তুমুল হট্টগোলের মধ্য দিয়েই বক্তব্য প্রদানকালে দূ:খ প্রকাশ করলে আপাতত: উত্তেজিত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। কিন্তু নি:শর্ত ক্ষমা না চাওয়াতে শুরু হয় তোলপাড়। পরদিন বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ তারেকের সভাপতিত্বে দোয়ারাবাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিস প্রাঙ্গনে মতবিনিময় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান বক্তারা।