দোয়ারা: সর্বনাশা তীর খেলা, প্রশাসন নির্বিকার
দোয়ারাবাজার উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় তীর খেলা নামক সর্বনাশা জোয়াড়িদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে যুব ও তরুণ সমাজ। কোটিপতি হওয়ার লোভে বসত ভিটা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করে তীর খেলায় অংশ গ্রহণ করছে শত শত মানুষ। জোয়া খেলার নেশায় টাকা সংগ্রহ করতে এলাকায় চুরি-ডাকাতি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে। খতিয়ে দেখা যায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং ভিত্তিক তীর কাউন্টার নামের অনলাইন লটারী খেলা ছলে আসছে। এই খেলাকে কেন্দ্র করে দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলছে তীর খেলা নামক জোয়ার জমজমাট মহোৎসব। সম্প্রতি সময়ে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তীর খেলার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে যুব ও তরুণ সমাজ ক্রমেই বিপদগামী হয়ে পড়েছে। নিত্য দিনের কাজ কর্ম ফেলে প্রতিনিয়ত তীর খেলার নেশায় মগ্ন হয়ে থাকে।
উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের বিয়ানীবাজারে বিকেল হলেই যুবকরা জড়ো হয়ে অনলাইন ভিত্তিক লটারীতে অংশগ্রহণ করে হাজার হাজার টাকা খোয়া যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, তীর খেলা নামক জোয়ার কারণে অতিষ্ঠ এখন এলকাবাসী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনাগেছে, অনলাইনে ১ টাকায় লটারী জিতে বাংলাদেশের ৭ শত টাকা পাওয়ার লোভে যুবকরা হাজার টাকা সংগ্রহ করছে। এর রয়েছে এলাকা ভিত্তিক এজেন্ট। এজেন্টদের কাছে অন্যরা লটারীর জন্য টাকা জমা দিলেই তাঁর নামে লটারী টানা হয় ভারতের শিলংয়ে। কিন্ত এতে এক দুইটা জিতলেও বেশীর ভাগ লটারীতে হেরে হাজার হাজার টাকা খোয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি এনামুল হক বলেছেন, তীর খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।