দ্বিতীয় ধাপেও কলেজ পাননি সাড়ে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী
বার্তা ডেস্ক: একাদশে ভর্তির জন্য দ্বিতীয় ধাপে ৫৫ হাজার ৫২৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে কোথাও সুযোগ পাননি। এ পর্যায়ে সারা দেশে মোট ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯২ জন কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে। তবে এ ধাপে আবেদন করেও সারা দেশের মোট ১ হাজার ৮৪৪ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ মেলেনি। অবশ্য তৃতীয় ধাপে তারা আবারও আবেদন করার সুযোগ পাবেন। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ শনিবার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা বোর্ডর অধীনে মোট ৩ লাখ ৪৩ হাজার ১০ জন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ২৩ হাজার ২১৯ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। এ বোর্ডে আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ মেলেনি ১০ হাজার ২০৯ জন শিক্ষার্থীর। তাদের মধ্যে ৪৯৬ জন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও রয়েছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম পচ্ছন্দের কলেজ পেয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় পচ্ছন্দের কলেজে ১৩ শতাংশ, তৃতীয় পচ্ছন্দে ৬ শতাংশ, চতুর্থ পচ্ছন্দে ৪ শতাংশ ও পঞ্চম পচ্ছন্দে ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। যারা এ ধাপেও ভর্তি বঞ্চিত হবেন, তারা তৃতীয় ধাপে শূন্য আসনে আবেদন করতে পারবেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েও দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৮৪৪ জন কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এ সংখ্যা রাজশাহী বোর্ডে বেশি। এ বোর্ডে মোট ৭২৪ জন, ঢাকা বোর্ডে ৪৯৬ জন ও কুমিল্লা বোর্ডে ১৯৩ জন। নীতিমালা অনুযায়ী, গত বুধবার একাদশে ভর্তিতে দ্বিতীয় দফার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ১৯ ও ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হয়, ২১ জুন রাতে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিতদের ২২ ও ২৩ জুন ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এছাড়াও ২৪ জুন রাত ৮টার পর থেকে তৃতীয় দফায় কলেজে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২৫ জুন রাতে প্রকাশ করা হবে আবেদনের ফল। ২৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে এবং জুলাই মাসের প্রথম দিন শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। উল্লেখ্য, গত ১২ মে দুপুরে একাদশ শ্রেণির ভর্তি অনলাইন ও মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। আবেদন চলে গত ২৪ মে পর্যন্ত। গত ১০ জুন প্রথম ধাপের আবেদনের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গতকাল (শুক্রবার) দিবাগত রাতে কলেজ নিশ্চিয়নের সময় শেষ হয়।