ধরমপাশায় ফল বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে ইউএনওর চিঠি
গলহা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করার জন্য বর্ষাকালে নৌকার কোনো সুব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ফসলডুবির সময় অনেক শিক্ষার্থীই এলাকা ছেড়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য কাজের সন্ধানে অন্য এলাকায় চলে গিয়েছিল। এসব কারণেই ফল খারাপ হয়েছে। তবে আগামী দিনে ফল ভালো হবে বলে তিনি আশাবাদী। জয়শ্রী উচ্চবিদ্যালয়ে পাসের হার ৩৭ শতাংশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, পাশের একটি ‘আনরেজিস্টার্ড’ বিদ্যালয় থেকে এই বিদ্যালয়ে নিবন্ধন করে ২৪ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র চারজন পাস করেছে। ফল বিপর্যয়ের এটি অন্যতম কারণ। খয়েরদির আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শেখ সাইদুর রহমান বলেন, সব প্রতিষ্ঠানেরই এবার ফল খারাপ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি না নেওয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে। ইউএনও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, এটি হাওরবেষ্টিত উপজেলা। কী কী কারণে এই উপজেলায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে, সেই কারণগুলো ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ফল ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।