ধর্মপাশায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ধর্মপাশা উপজেলার গলহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদারের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চাকরি প্রার্থী মো. সোহাগ মিয়ার মা দিলোয়ারা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পৃথক পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়- গলহা উচ্চ বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগের জন্য গত ২১মার্চ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গলহা গ্রামের দিলোয়ারা খাতুনের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া দপ্তরী পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই সোহাগ মিয়াকে দপ্তরী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন। প্রধান শিক্ষকের কথা অনুযায়ী মো. সোহাগ মিয়ার ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য কৌশিক চন্দ্র রায়ের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে দুইবারে দেড় লাখ টাকা দেন। কিন্তু গত ১৫ জুলাই দপ্তরী নিয়োগ পরীক্ষায় মো. সোহাগ মিয়াকে উত্তীর্ণ না করে নারায়ন দেবনাথ নামক একজনকে উত্তীর্ণ করা হয়। এ বিষয়টি জানার পর সোহাগের মা বাবা কৌশিক রায়কে সাথে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে দেওয়া তাদের দেড় লাখ টাকা ফেরত চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে আবার টাকার কথা বললে তাদের মারধর করার হুমকি দেন। ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কৌশিক চন্দ্র রায় বলেন- সোহাগের চাকরির জন্য আমি নিজ হাতে দুইবারে প্রধান শিক্ষককে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। এখন প্রধান শিক্ষক সোহাগকে চাকরিও দেননি, আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। গলহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদার বলেন- আমি চাকরি দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন- ‘এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’