ধর্মপাশা হামলায় আহত সাবেক চেয়ারম্যান
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সেলবরষ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদের ওপর হামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে সেলবরষ ইউনিয়নের আহম্মদপুর বাজারের কাছে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ওপর এ হামলা চালিয়েছে। হামলাকারি সকলেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ডা. রফিক চৌধুরীর আত্মীয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আলী আমজাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে আলী আমজাদ মোটরসাইকেলে করে ধর্মপাশা থেকে নিজ বাড়ি সেলবরষ ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে যাচ্ছিলেন। তিনি রাত সাড়ে দশটার দিকে আহম্মদপুর বাজারের কাছে পৌঁছালে আহম্মদপুর গ্রামের মৃত রাশিদ মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া, ফরিদ মিয়া, মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে সাদেক মিয়া তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় ফরিদ মিয়া পেছন থেকে তাঁর মাথায় ভারি কিছু একটা দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারাত্মকভাবে জখম হন। পরে স্থানীয় লোকজন আলী আমাজদকে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাত দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আলী আমজাদ বলেন, ‘হামলাকারিরা আমার মোটরসাইকেলে গতিরোধ করে জিজ্ঞেস করে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ডা. রফিক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন রাজনীতি করি, এ নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে ফরিদ আমার মাথায় আঘাত করে। আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলাকারিরা ডা. রফিক চৌধুরীর আত্মীয়।’ তবে এ ব্যাপারে ডা. রফিক চৌধুরীর সাথে কথা বলতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত সাদেক মিয়া সেলবরষ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি বলেন, ‘হামলার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যখন ঘটনা ঘটে তখন তাঁকে (আলী আমজাদ) বাঁচাতে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কে হামলা চালিয়েছে তা অন্ধকারের জন্য চিনতে পারিনি।’ ধর্মপাশা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’