ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ, গৃহবধূর ২ বছর জেল
বরগুনায় ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলার বাদীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুলফিকার আলী খান মঙ্গলবার বিকালে এ আদেশ দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী পৌরসভার বাসিন্দা আবদুল মালেকের স্ত্রী মোসা. তাসলিমা বেগম। জানা যায়, মোসা. তাসলিমা বেগম ২০০৯ সালের ৩০শে এপ্রিল বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার প্রতিবেশী মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল মান্নান হাওলাদারকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
ঐ মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ৬ই জুন মান্নান রাত ৮টার দিকে তার বসতঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রজিৎ কুমার রায় মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ২৭শে জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনাল ২০০৮ সালের ৪ঠা আগস্ট আসামি মান্নানকে খালাস দেন। তাসলিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ এনে আসামি মান্নান ক্ষুব্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একই ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২১শে জুন তাসলিমাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাসলিমাকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর মান্নান বলেন, আমার ৫৫ বছরের জীবনের সকল অর্জন তাসলিমা একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে শেষ করে দিয়েছে। আজ থেকে আমি কলঙ্কমুক্ত।