ধর্ষণ, ইভটিজিং, পোশাকের নয়, দায় মানসিকতার
সালমা বেগম-
বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্মমতা। ধর্ষণ, ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে নারী। অনেকে আবার এর জন্য উল্টো নারীর পোশাক, চলা-ফেরাকেই দায়ী করছেন। বনানীর ধর্ষণকাণ্ডের পর এ বিতর্ক নতুন করে শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল বিতর্ক। কিন্তু বিশিষ্টজন, মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের জন্য পোশাকের কোন দায় নেই। বরং দায় হচ্ছে ধর্ষকের মানসিকতা আর বিচারহীনতার।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, বিচারহীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। এক্ষেত্রে পোশাক কোন বিষয় নয়। বিচারে দীর্ঘতার কারণে প্রতিটা বিষয় দুর্বল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। অপরাধীরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে শাস্তির বিধান করলে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন অনেক কমানো সম্ভব।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এডভোকেট এলিনা খান বলেন, যখন দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে, রাজনৈতিক সমস্যা বিরাজ করে তখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে না। অপরাধীরা মনে করে দুর্বল নারীরা কিছু করতে পারবে না। তাই নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয় বেশি। এসব ঘটনার মাধ্যমে নারীদের ভয় দেখানো হয়। যেন তারা পিছিয়ে পড়ে যায়। এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, সারা দেশে প্রতিনিয়তই এসব ঘটনা ঘটছে। তবে একটা দু’টো ঘটনা যখন খুব বেশি আলোচিত হয় তখন অন্য ঘটনাগুলোও সবার নজরে আসতে থাকে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, যে মেয়ে বাসে হিজাব পরে চলাফেরা করে তার গায়েও ছেলেরা হাত দেয়। আর বোরখা পরা মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হয়। পোশাক কিন্তু এখানে কোনো বিষয় না। যে ছেলেটার মানসিক উন্নতি হবে না সে যে কোনো নারী দেখে আকৃষ্ট হবে। এইসব পুরষ মূলত সুযোগসন্ধানী। এমন কিন্তু নয় যে, ঘরের ভেতর মেয়েরা এসবের শিকার হয় না। পরিবারের সদস্য চাচা, মামা এমন কাজ করতো। তবে এখন কিছু ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে তাই এইসব কথা উঠছে। মেয়েরাও অনেকটা বলতে শিখেছে। প্রথমদিকে যেটা হতো কোনো মেয়ের গায়ে হাত দিলে কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে মেয়েটি চুপ করে থাকত। আর বড় ধরনের প্রতিবাদের সম্ভাবনা নেই ভেবেই কিন্তু এ ধরনের সাহস পায়। তিনি বলেন, এখানে পুরোটাই নির্ভর করছে একটা ছেলের মানসিক গঠনের জায়গাটা কী রকম। আমাদের সমাজে এখনো অনেক ছেলে আছে যাদের মোরাল ডেভেলপমেন্ট অনেক স্ট্রং। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি এসব ছেলে কোনো মেয়েকে পোশাক ছাড়া দেখলেও কিছুই হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনার জন্য পোশাক কোনোভাবেই দায়ী নয়। কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি করে যৌনসঙ্গম করা হয় সেক্ষেত্রে ভিকটিমের পোশাক বা আচরণ কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এমন কোনো প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না যারা বোরখা কিংবা হিজাব পরে থাকে তারা ধর্ষণের শিকার হয় না। এক্ষেত্রে যে এমন অপরাধ করছে তার মানসিকতা দায়ী, যে শিকার হচ্ছে তার না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহান বলেন, পোশাক যদি দায়ী হতো তাহলে দু’বছর, পাঁচ বছর, আট বছরের শিশুরা কেন ধর্ষিত হয়। বিচার না পেয়ে গাজীপুরের হযরত আলী কন্যাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই শিশুর পোশাকের অশ্লীলতাটা কোথায়, সে কেন নির্যাতনের শিকার হলো? যে গার্মেন্টকর্মী রাত আট বা ন’টায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে কেন সে ধর্ষিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয় ২৫৮ জন নারী ও কন্যাশিশু। ৫৫ জন নারী ও শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১৫ জন, ধর্ষণের চেষ্টা ৬০ জন, ২৬ জন নারী শ্লীলতাহানীর শিকার হন। এছাড়াও যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্ত, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আক্রমণ থেমে নেই কিছুই।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সালমা আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, বিচারহীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। এক্ষেত্রে পোশাক কোন বিষয় নয়। বিচারে দীর্ঘতার কারণে প্রতিটা বিষয় দুর্বল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। অপরাধীরা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে শাস্তির বিধান করলে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন অনেক কমানো সম্ভব।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এডভোকেট এলিনা খান বলেন, যখন দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে, রাজনৈতিক সমস্যা বিরাজ করে তখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে না। অপরাধীরা মনে করে দুর্বল নারীরা কিছু করতে পারবে না। তাই নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয় বেশি। এসব ঘটনার মাধ্যমে নারীদের ভয় দেখানো হয়। যেন তারা পিছিয়ে পড়ে যায়। এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, সারা দেশে প্রতিনিয়তই এসব ঘটনা ঘটছে। তবে একটা দু’টো ঘটনা যখন খুব বেশি আলোচিত হয় তখন অন্য ঘটনাগুলোও সবার নজরে আসতে থাকে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, যে মেয়ে বাসে হিজাব পরে চলাফেরা করে তার গায়েও ছেলেরা হাত দেয়। আর বোরখা পরা মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হয়। পোশাক কিন্তু এখানে কোনো বিষয় না। যে ছেলেটার মানসিক উন্নতি হবে না সে যে কোনো নারী দেখে আকৃষ্ট হবে। এইসব পুরষ মূলত সুযোগসন্ধানী। এমন কিন্তু নয় যে, ঘরের ভেতর মেয়েরা এসবের শিকার হয় না। পরিবারের সদস্য চাচা, মামা এমন কাজ করতো। তবে এখন কিছু ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে তাই এইসব কথা উঠছে। মেয়েরাও অনেকটা বলতে শিখেছে। প্রথমদিকে যেটা হতো কোনো মেয়ের গায়ে হাত দিলে কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে মেয়েটি চুপ করে থাকত। আর বড় ধরনের প্রতিবাদের সম্ভাবনা নেই ভেবেই কিন্তু এ ধরনের সাহস পায়। তিনি বলেন, এখানে পুরোটাই নির্ভর করছে একটা ছেলের মানসিক গঠনের জায়গাটা কী রকম। আমাদের সমাজে এখনো অনেক ছেলে আছে যাদের মোরাল ডেভেলপমেন্ট অনেক স্ট্রং। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি এসব ছেলে কোনো মেয়েকে পোশাক ছাড়া দেখলেও কিছুই হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনার জন্য পোশাক কোনোভাবেই দায়ী নয়। কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি করে যৌনসঙ্গম করা হয় সেক্ষেত্রে ভিকটিমের পোশাক বা আচরণ কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এমন কোনো প্রমাণও কেউ দেখাতে পারবে না যারা বোরখা কিংবা হিজাব পরে থাকে তারা ধর্ষণের শিকার হয় না। এক্ষেত্রে যে এমন অপরাধ করছে তার মানসিকতা দায়ী, যে শিকার হচ্ছে তার না।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহান বলেন, পোশাক যদি দায়ী হতো তাহলে দু’বছর, পাঁচ বছর, আট বছরের শিশুরা কেন ধর্ষিত হয়। বিচার না পেয়ে গাজীপুরের হযরত আলী কন্যাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই শিশুর পোশাকের অশ্লীলতাটা কোথায়, সে কেন নির্যাতনের শিকার হলো? যে গার্মেন্টকর্মী রাত আট বা ন’টায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে কেন সে ধর্ষিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয় ২৫৮ জন নারী ও কন্যাশিশু। ৫৫ জন নারী ও শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়। এছাড়া ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ১৫ জন, ধর্ষণের চেষ্টা ৬০ জন, ২৬ জন নারী শ্লীলতাহানীর শিকার হন। এছাড়াও যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্ত, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আক্রমণ থেমে নেই কিছুই।