‘ধর্ষণ এর সংজ্ঞা পরিবর্তন করা উচিৎ’
ফাহমিদা ফেরদৌস স্বর্ণা (ফেসবুক থেকে নেয়া)-
আবারও বনানী! একটা বিষয় মোর মাথায় ঢুকে না, ধর্ষণ হয় যখন আপনি একা থাকবেন। কিন্তু জন্মদিন এর পার্টিতে কি আর কেউ থাকে না যে একজন নারীর ধর্ষণ হয়? আর সাফাত এর বনানী ধর্ষণ থেকে কি এই মাইয়া কিছু শিক্ষা লইতে পারলো না, লিটন এর ফ্লাট, সাফাত এর ফ্লাট আর বর্তমান নয়া টপিক ইভান এর ফ্লাট এ যাওয়ার দোষী আপনি একা,ওরা না। হুম অবশ্যই ওরা জানোয়ারের থেকেও বর্বর যারা ধর্ষক। কিন্তু কথা বা প্রশ্ন হলো যেই সব মাইয়ারা জাইনা শুইনা ওগো ফ্লাট বা পার্টিতে যাওয়ার লাইগা প্রস্তুত থাকে তাগোর লাইগা Sympathy থাকা আরও বড় পাপ মনে করি।
বর্তমানে ধর্ষণ এর সংজ্ঞা ও পরিবর্তন করা উচিৎ, যে আসলে কোনটা ধর্ষণ। রাতে হোক বা দিনে হোক, কোন বন্ধুর পার্টিতে যদি যেতেই হয় তবে পরিবার কি সেখানে অবগত আছে কিনা বা সে তার পরিবার এর কাউকে নিয়ে যাক যে ধর্ষিত তাকে নিশ্চয় তার পরিবার এর কোন মানুষের সামনে ধর্ষণ করা হয়নি,নিশ্চয় তখন সে একা ছিল সেই ছেলের বাসায়।
আপনি সেচ্ছায় জেনে বুঝহে যাবেন আর তা ধর্ষণে সামিল হবে তাতো নয়,তাহলে ওই মেয়ে ওই ছেলে উভয়ই ধর্ষিত ওহ ইচ্ছাকৃত ধর্ষিত আমি মনে করি। ধর্ষিত মেয়েটির প্রতি আমার মায়া হচ্ছে না কারণ কি জানেন কারণ হলো সে আগের ঘটনাটি থেকে কেন শিক্ষা নিলো না? কেন রাতের জন্মদিন এর পার্টি তে সে একা গেলো? এ যুগে সবাই এতটাই আধুনিক যে কোন মানুষকে ভালো মত না চিনে, না জেনে, না বুঝহে বিশ্বাস করা হয়। হয়তো তার ফল এতটাই বিষাক্ত তার স্বাদ যখন পায় তখনি তারা অনুভব করে যে সে বা তারা ধর্ষিত। মোর সাংবাদিক ভাইজানগো কাছে অনুরোধ- বড়লোক এর পোলা গো কাহিনী না ছাপাইয়া সাংবাদিক ভাইয়ারা আপনারা সেই সব সত্যিকার এর ধর্ষিতদের কাহিনী তুলে ধরুন যা কিনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে আমাদের সমাজের আনাচে কানাচে। বড়লোক গো কাহিনী দিয়া ওইসব ধর্ষিত মাইয়াগোর ও লাভ আর আপনাগোর ও লাভ কি তা আম জনতা আমরা কম হইলে ও কিছু বুঝহি…
লেখিকা: ঢাকা জজ কোর্টের একজন আইনজীবী (ফেসবুক থেকে নেয়া)