ফয়সল আহমদ রুহেল:: ধূর্জটি কুমার বসু। সুনামগঞ্জ শহরে যিনি সকলের কাছে প্রিয় ‘রাখাল স্যার’ নামেই পরিচিত। তাঁর জেঠার দেয়া ছোটবেলায় এ নাম-ই পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলার বামপন্থি রাজনীতির অন্যতম কিংবদন্তী। একজন আদর্শ শিক্ষক। একজন নীতিনিষ্ঠ আদর্শ মানুষ। সমাজ বদলের রূপকার। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী রাখাল স্যার শিক্ষকতা করেছেন ৪১ বছর। বর্ণাঢ্য এক কীর্তিময় জীবন। তাঁর হাতে গড়া অসংখ্য শিক্ষার্থী। কর্মজীবনে বিভিন্ন পদে আসিন আছেন। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাখাল স্যার আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তিনি সুনামগঞ্জ সদরের এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
আদি পুরুষের নিবাস : ধূর্জটি কুমার বসু এর মূল আদি পুরুষের নিবাস বিক্রমপুর পরগনায় (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায়)। তাঁর দাদা প্রয়াত গোবিন্দচন্দ্র বসু একজন পন্ডিত ছিলেন। পদ্মাপাড়ের মানুষরা তৎকালীন সময় সবাই উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। সেখান থেকে তারা জীবন জীবিকার তাগিদে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তেন। আজ থেকে প্রায় ১৩৫ বছর পূর্বে গোবিন্দ চন্দ্র বসু পরিবার নিয়ে সুনামগঞ্জে আসেন। জলসুখার জমিদার হরিবাবুর কাছ থেকে কবুলিওতের মাধ্যমে যে জায়গা পান, সেখানেই তিনি বসতি স্থাপন করেন। যা অদ্যবধি বর্তমান।
জন্ম : বাবু ধূর্জটি কুমার বসু ১৯৪১ সালের ২৭ জুলাই সুনামগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা স্বর্গীয় উমেশ চন্দ্র বসু (চেলা বসু) এবং মাতা স্বর্গীয়া তরুলতা বসু। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডস্থ দিগন্ত-৯ আবাসিক এলাকার মোক্তারপাড়ায়। বাবা মোক্তারি পাশ করার পরও বড় ভাই মোক্তার থাকায় এ পেশায় যোগদান না করে নায়েবগিরিতে যুক্ত হন। পরবর্তীতে মোক্তারি পেশা শুরু করেন এবং ১৯৮১ সাল পর্যন্ত আমৃত্যু এ পেশায় নিয়োজিত থাকেন। ৭ ভাই ও ২ বোনের সংসারে ধূর্জটি কুমার বসু স্যার পঞ্চম।
শিক্ষা জীবন : ধূর্জটি কুমার বসু প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন কালীবাড়ী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। রাখাল স্যার ১৯৪৪ সালে কালীবাড়ী স্কুলে ১ম ভাগে ভর্তি হন। এরপর ২য় ভাগ তারপর ১ম মান, ২য় মান, এরপর ভর্তি হন ক্লাস ওয়ানে। তিনি ১৯৪৯ সালে বুলচান্দ হাইস্কুলে ভর্তি হন ৩য় শ্রেণীতে। ওই স্কুল থেকে ১৯৫৭ সালে ২য় বিভাগে মেট্রিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ (তখন বেসরকারী ছিল) থেকে ৩য় বিভাগে আইএ পাশ করেন। একই কলেজ থেকে ১৯৬১ সালে ৩য় বিভাগে বিএ পাশ করেন। তিনি ১৯৮৪-৮৬ ইং শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চতরসহ ২য় বিভাগে বিএড সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন : ধূর্জটি কুমার বসু ডিগ্রি পাশ করার সাথে সাথেই চরমহল্লা থেকে এলাকার লোকজন এসে তাঁকে চরমহল্লা জুনিয়র হাইস্কুলটি দাঁড় করিয়ে দেয়ার জন্য ধরেন। সেখানে এক বছর শিক্ষকতা করে চলে আসেন শহরের এইচএমপি স্কুলে। তখন এইচএমপি হাইস্কুলটি ছিল এম.ই মাদ্রাসা স্টেটাসের। পরবর্তীতে তাঁর হাতেই এ স্কুলটি জুনিয়র হাইস্কুল এরপর পূর্ণাঙ্গ হাইস্কুলে পরিণত হয়। তিনি ১৯৬২ সালের ২২ জুলাই হতে ২০০৩ সালের ২২ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। এর মধ্যে এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২ বছর সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ২৯ বছর বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোট ৪১ বছর চাকুরী জীবন অতিবাহিত করেন। ২০০১ সালের ২২ জুলাই তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর কর্মদক্ষতার জন্য মেয়াদ আরো ২ বছর বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি অবসরে যান ২০০৩ সালে।
শৈশব : ধূর্জটি কুমার বসু রাখাল স্যারের শৈশবের উল্লেখযোগ্য স্মৃতি হচ্ছে ২য় বিশ^যুদ্ধে শেষ পর্যায়ে ১৯৪৫ সালে সুনামগঞ্জের আকাশে শিকলের মতো দল বেঁধে যুদ্ধবিমান উড়াউড়ি করার দৃশ্য। একবার তিনটি বিমান শহরের স্টেডিয়ামের আশেপাশে সম্ভবত জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় জরুরী অবতরণ করে। দুটি বিমান বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে একটি বিমান পরের দিন যথারীতি উড়ে যায়। তিনটি বিমানের ক্ষেত্রেই অবশ্যই পাইলটরা অক্ষত ছিলেন। শহরে বিমান হামলা হলে কি করতে হবে তার পরামর্শ কেন্দ্র খোলা হয় বেশ কয়েকটি। তখন সময় কাটতো ভয়ে ভয়ে। শহরে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করলেও তেমন কোন সমস্যা হয়নি। রেফারেন্ডামের সময় জওহরলাল নেহেরু সুনামগঞ্জের এলে ‘এ’ টিম ফিল্ডে (বর্তমান স্টেডিয়াম) বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি প্রথম মাইকের ব্যবহার দেখেন। ৪৭ এ পাকিস্তান হওয়ার পর অনেকে ভারত চলে গেলেও পরবর্তীতে কেউ কেউ ফিরে আসে। সুনামগঞ্জে কখনও দাঙ্গা হয়নি। ৫২’তে তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তেন। ভাষা আন্দোলনের সময়কালটায় আব্দুল হক ও আব্দুল হাই ছিলেন সুনামগঞ্জের তুখোড় ছাত্রনেতা। এছাড়া হোসেন বখত, আলফাত উদ্দিন আহমদ, যোগেন্দ্র শর্মাসহ অন্যান্যরা আন্দোলন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। ৫৪’তে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময় কমিউনিষ্ট পার্টির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পার্টির বড় বড় নেতারা সুনামগঞ্জে আসেন। শরদিন্দু দে, সুষমা দে, কমরেড তারা মিয়া, চিত্ত দাস, বিজন পুরকায়স্থ, সত্যব্রত দাস কাজল, মঞ্জু দাসরা এ সময় ভাল ভূমিকা পালন করেন। ৫৪’র নির্বাচনে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও যুক্তফ্রন্ট প্রার্থীদের বিপুল বিজয় হয়। শুরুতেই পাকিস্তানীরা যুক্তফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ৫৬’তে শহরে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। তখন রিলিফের কাজ শুরু হয়। খোলা হয় লঙ্গরখানা। হোসেন বখত, আলফাত উদ্দিন আহমদ, আব্দুল হাই, আব্দুল হক, কাঁচা মিয়া, শুভব্রত, শক্তিব্রত সহ অন্যান্যরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এসময় রাখাল স্যারও লঙ্গরখানায় পুরো এক টিম নিয়ে ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। ৫৮’তে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারি করলে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড় নির্যাতন। নতুন নতুন ফরমান জারী হয়। বাক স্বাধীনতা বন্ধ হয়ে যায়। সবাই চলে যান আন্ডারগ্রাউন্ডে। আস্তে আস্তে সংগঠিত হতে শুরু করে আন্দোলন। কমিউনিষ্ট পার্টি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনকে গতিশীল রাখে। জয়কলসের জালু মিয়া, আজাদ মিয়া (উনার রেস্টুরেন্টটি ছিল মুল খাটি), নেপু সরকার, অজু নাগ, কল্যাণ ব্রত রায়, অমরেন্দ্র কর আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন : রাখাল স্যার নিজে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে শরীক হন। ৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ছাত্ররা আইয়ুব খানকে বাধা দেয়। ৫৭ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভেনগার্ড পার্টির হয়ে রাখাল স্যার পার্টির হয়ে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫৮ তে তাঁদের পার্টির নাম ছিল ক্রিসেন্ট পার্টি। দুই ক্ষেত্রে তাদের পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বি ছিল। প্রগেসিভ পার্টি যার নেতৃত্বে ছিল ছাতকের একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হাই। ৫৯ ও ৬৩ সালেও তিনি প্রিন্সিপাল সিলেক্টেড হিসাবে ছাত্র সংসদের কর্মকর্তা হন।
শরণার্থীদের মধ্যে রিলিফ বিতরণ : ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি শহরতলীতে আত্মগোপন করেন। পরবর্তীতে অবস্থা বেশি খারাপ হলে রাখাল স্যার পরিবার নিয়ে চলে যান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বালাটে। তিনি পুরো যুদ্ধকালীন সময় শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করে রিলিফ বিতরণসহ অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তখন ভারতের রিলিফ মন্ত্রী খাদিলকারসহ অনেক ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে তাঁর দেখা হয়।
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায় : বেসরকারী শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৬৩ সাল থেকে অবসরে যাওয়ার পূর্বে পর্যন্ত তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি পেনশনে যান খালি হাতে। কারণ এখনকার মতো পেনশনের ব্যবস্থা ছিল না। শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসর নিলেও তিনি সামাজিক কার্যক্রম থেকে অবসর নেননি এখনও। বরং সময় বেশি পাওয়ায় সামাজিক কার্যক্রমে রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
অন্যান্য : ধূর্জটি কুমার বসু রাখাল স্যার ১৯৬৪ ইং সন হতে স্কাউট আন্দোলনের সাথে জড়িত। জেলা স্কাউটস এর কমিশনার ও সম্পাদক দায়িত্ব পালনসহ বর্তমানে জেলা স্কাউটস এর সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন। স্কাউট কার্যক্রমকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে এখনও অক্লান পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ স্কাউটস জাতীয় সদর দপ্তর ২০১০ ইং সনে স্কাউটস এর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক ‘রৌপ্য ইলিশ’ এবং ২০২২ ইং সনে সর্বোচ্চ পদক ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র প্রদান করেন। তিনি এ আকর্ষনীয় পুরস্কার গ্রহণ করেন তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ২০০৫ ইং সন হতে এখনও পর্যন্ত উক্ত পদে থেকে সুনামগঞ্জ জেলার সর্বত্র সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকদের সাথে যথারীতি সচেতনতামূলক এডভোকেসী সভা করে যাচ্ছেন। সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ এ সংগঠন তাঁকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে (২০১০)। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সুনামগঞ্জ সনাক এর সদস্য হিসাবে ২০০৫ ইং সন হতে উক্ত সংস্থার সভাপতি পদসহ বর্তমান সক্রিয় সদস্য হিসেবে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এখনও পর্যন্ত দুর্র্নীতি প্রতিরোধে কর্মরত আছেন। ১৯৫৭-৬১ পর্যন্ত সুনামগঞ্জ কলেজে অধ্যয়নে থাকাকালীন কলেজ ছাত্র সংসদের Social Welfare পদে চার বার নির্বাচিত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুশাসনের জন্য প্রচারভিযান (সুপ্রা) এর সভাপতি/সনাক নির্বাহী কমিটির সদস্য। শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর মন্দির কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি। এছাড়া সুনামগঞ্জ সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য।
সাংসারিক জীবন : ধূর্জটি কুমার বসু রাখাল স্যার ১৯৬৭ ইং সনে মৌলভীবাজার জেলার সাধুহাটি গ্রামের প্রয়াত যোগেন্দ্রনাথ দামের ২য় কন্যা শক্তিদত্তা দামের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহলগ্ন হতে এখনও পর্যন্ত সুখী দাম্পত্য জীবনযাপন করছেন। এক ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। ১ম ছেলে রামেশ্বর বসু এলএলবি পাশ করে বর্তমানে সনদ প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছেন। পুত্রবধূ শর্মিষ্ঠা বসু, বিএ, বিএড, বর্তমানে সুনামগঞ্জ সংস্কৃত কলেজে চাকুরিরত। ৩ কন্যার মধ্যে বড় কন্যা ইন্দিরা বসু ও ২য় কন্যা মন্দিরা বসু বিবাহিত জীবনযাপন করছেন। ছোট কন্যা দেবশ্রী বসু সদ্য বিবাহিত অবস্থায় সৃজন বিদ্যাপীঠে চাকুরীরত ।
২০২৩ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলার ১২ উপজেলার ২৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)।
উল্লেখ্য, ২৪ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।
রাখাল স্যার অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন গঠন করে দিয়েছেন, আর সেসব শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানান কাজে সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাঁর পরিশ্রম স্বার্থক করে তুলছে। মানব সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। তিনি বিদ্যালয়টি মেধা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তুলেছিলেন। ধূর্জটি কুমার বসু রাখাল স্যার জীবনে তাঁর এ পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই উৎসাহ দিয়ে আসছেন তাঁর সুযোগ্য সহধর্মিনী শক্তিদত্তা বসু। দীর্ঘ ৫৫ বছরের জুটি তাদের। এখনও প্রাত:ভ্রমণ করেন দু’জন এক সঙ্গে। রাখাল স্যারের কর্মই অগণিত মানুষের হৃদয়ে জাগ্রত থাকবে চিরন্তন। স্যারের সুদীর্ঘ আয়ু এবং সুস্থতা কামনা করছি।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৭৩১ বার