ধূলিঝড় ও বজ্রপাতে ভারতে নিহত কমপক্ষে ৭৭
ধূলিঝড় ও বজ্রপাতে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে কমপক্ষে ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর প্রদেশে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। রাজস্থানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭ জন। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক মানুষ। বুধবার রাতে ভারতের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শক্তিশালী এ ঝড়ের সঙ্গে প্রচ- বজ্রপাত হতে থাকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। এমনিতেই ওই অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপমাত্রা, গরম বিরাজ করছিল। বৃষ্টিপাতের ফলে সেখানে আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তির হলেও সঙ্গে থাকা প্রচ- শক্তিশালী বাতাস ও বজ্রপাতে ঘটেছে ব্যাপক প্রাণহানি। নষ্ট হয়েছে সহায় সম্পত্তি। শুধু উত্তর প্রদেশের আগ্রায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ধসে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। শাহারানপুরে আট বছর বয়সী একটি বালিকার ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এসে সে মারা যায়। বজ্রপাতের ফলে লক্ষেèৗ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে পিলিভিটে অগ্নিকা-ের সৃষ্টি হয়। এতে কৃষিখামার ও সহায় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্ধার ও ত্রাণ কর্মকা- দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওদিকে রাজস্থানেও স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে মাঠপর্যায়ে নেমে পড়েছেন। সেখানে ধূলিঝড়ে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বার্তা সংস্থা পিটিআই রিপোর্ট করছে, বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তায় রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সচিব হেমন্ত কুমার গেরা বলেছেন, এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২৭ জন মারা যাওয়ার কথা জানা গেছে। এর মধ্যে ভরতপুরে ১২, ধোলপুরে ১০ ও আলওয়ারে ৫ জন মারা গেছে। এখানে ভরতপুর, আলওয়ার ও আওয়ার জেলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১০ জন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে টুইটারে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেস ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি অশোক গেহলট তার জন্মদিনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন এ উপলক্ষে। ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, শুক্রবার পর্যন্ত ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকায় বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে কৃষকের ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর প্রদেশের আগ্রা জেলা। উত্তর প্রদেশের ত্রাণ বিষয়ক কমিশনার সঞ্জয় কুমার বলেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ সেখানে নিহতের সংখ্যা ৫০। আহত হয়েছেন ৩৮ জন। বিজনরে নিহত হয়েছেন তিন জন। শাহারানপুরে দু’জন ও বেরেলি, চিত্রকুট, রায়বেরেলি ও উন্নাও জেলায় একজন করে মানুষ নিহত হয়েছেন । প্রায় ৩০০ বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে। ১৫৬টি গবাদি পশু মাথা থেঁতলে মারা গেছে।