ধোপাজান চলতি নদীর তীর কেঁটে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবী
আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় ধোপাজান চলতি নদীর তীর কেঁটে বিভিন্ন নামের পরিবেশ বিধ্বংসী খনন যন্ত্র দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবীতে সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্ঠা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফৌজি আরা বেগম সাম্মী,সভাপতি এ কে এম আবু নাছার আহমদ,সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম প্রমূখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং তারিখে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক বিষয়ে উল্লেখিত ধোপাজান চলতি নদী থেকে বিভিন্ন নামের পরিবেশ বিধ্বংসী খনন যন্ত্র দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মহামান্য উচ্চ আদালতের নিদের্শনাটি প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ করেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রায় দেড় বৎসর যাবৎ বন্ধ থাকার পর গত ২ মাস যাবৎ রহস্যজনক কারণে দিনে ও রাতে পরিবেশ বিধ্বংসী খনন যন্ত্র দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন পূনরায় শুরু হয়েছে। মাঝে-মাঝে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অভিযান প্রেরণের মাধ্যমে বালুবাহী নৌকা জব্দ করা হলেও অভিযান থেকে ফিরে আসার পর পূনরায় উত্তোলন শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ আন্তরিকতার সহিত প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রায় ১০ বৎসর যাবৎ একটি অসাধু চক্র প্রশাসনের একটি অংশের যোগসাজসে উক্ত অপকর্মের মাধ্যমে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জনসাধারণের সম্পদ বিনষ্ট করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। পূর্বে আমরা কয়েকবার লিখিতভাবে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানিয়েছি কিন্তু অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বিধায় এখনও এরা সক্রিয় রয়েছে। তাই প্রশাসনের ফলপ্রসু ভূমিকা পালনের মাধ্যমে এদেরকে চিহিৃত করে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বালু-পাথর উত্তোলণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি মাত্র। তা-না হলে এদের হাত থেকে নদী এলাকার বর্তমান পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জন সাধারণের সম্পদ রক্ষা করা মোটেই সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় তারা ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দাবি সমূহ : ১। পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন নামের খনন যন্ত্র দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে হবে ২। অবিলম্বে ধোপাজান নদী এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে ৩। পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনা করতে হবে ৪। ধোপাজান নদীর পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জনসাধারণের ক্ষতি সাধনকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।