নওয়াজের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তার ভাই
১৯৯৭-১৯৯৯ সালেও শাহবাজ পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৮ সালে পাঞ্জাব সংসদের একজন সংসদ সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে পাঞ্জাবের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। পাঞ্জাবের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ খাতে সুদিন ফিরিয়ে আনার পেছনে শাহবাজের অবদানকে গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এছাড়া একজন প্রভাবশালী প্রশাসক হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন নওয়াজ শরীফ। নাটকীয়ভাবে এক দিনেই আবারও টালমাটাল পাকিস্তানের রাজনীতি। গত বছর পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভুত’ সম্পদের হিসাব বেরিয়ে আসে। আদালতে এসব সম্পদদের বৈধ উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ২৮ জুলাই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে। তার কয়েক ঘণ্টা পর তৃতীয় মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন নওয়াজ শরীফ।
আদালতের ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের রাস্তায় উল্লাসে ফেটে পড়ে নওয়াজবিরোধীরা। নিজেদের মধ্যে মিষ্টিও বিতরণ করেছে তারা। পানামা পেপারসের তথ্যের ভিত্তিতে নওয়াজের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ছিল পাকিস্তানে এক দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রায়। রায়ে সর্বোচ্চ আদালত পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি) ছয় সপ্তাহের মধ্যে মামলার আসামি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে একটি রেফারেন্স দায়েরের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।