বার্তা ডেক্সঃঃগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর রাজনৈতিক জোট গড়তে যাচ্ছেন। আরও কয়েকটি সংগঠনকে এ জোটে যুক্ত করা হতে পারে। এর মধ্যে আছে অরাজনৈতিক সংগঠন ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ এবং রাজনৈতিক সংগঠন ‘ভাসানি অনুসারী পরিষদ’। জোটের কোনো নাম এখনও তারা ঠিক করেননি এবং বিষয়টি আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে বলে তারা জানান। জোনায়েদ সাকি গণসংহতি আন্দোলনের নামক একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান সমন্বয়ক হলেও নুরুল হক নুরুর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নেই। সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামক একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের তিনি যুগ্ম আহ্বায়ক। এ বিষয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে এক সঙ্গে একটা অনুষ্ঠান করেছি। আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আরও বৃহত্তরভাবে কাজ করতে পারি, সেটা আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা বৃহত্তর শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে যাচ্ছি।’ জোট গঠনের উদ্যোগের কথা স্বীকার করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলার। কিংবা ন্যূনতম দাবিতে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা যায় কিনা। দেশের বর্তমান সঙ্কটে আমরা এ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ কাদের সঙ্গে ঐক্য করার চেষ্টা করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি দলের সঙ্গে যারা, তাদের বাইরে যতো বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠন আছে, রাজনৈতিক দল আছে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে এই আলোচনা আমরা রেখেছি। অনেক আগে থেকেই রাজনৈতিক দলের বাইরেও বিভিন্ন সিভিল সোসাইটির নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করছি।’
জামায়াতে ইসলামীও আলোচনায় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জামায়াত ব্যতীত সকল সরকারবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে আমরা যেতে প্রস্তুত।’ সরকারবিরোধী আন্দোলনই জোটের লক্ষ্য কিনা জানতে চাইলে নুর বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলেই দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে- এমন না। এই দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।’ নির্বাচন কমিশনে অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ২০১৮ সালে ঢাকা-১২ আসন থেকে এমপি নির্বাচন করেছিলেন। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন মেয়র পদে নির্বাচন করেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক ছিলেন।
নুরুল হক নুর ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে নজরে আসেন। এরপর ওই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন করে ভিপি পদে জয়লাভ করেন তিনি। ডাকসুর ভিপি পদের মেয়াদ শেষ হলে নিজে একটি রাজনৈতিক দল করার ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু এরপর দল গঠনের আনুষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগ তাকে নিতে দেখা যায়নি। ধর্ষণে সহায়তার একটি মামলার আসামি তিনি।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৪৮ বার