নবযাত্রা ও জয়যাত্রা’র কমিশনিং করতে চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নৌবাহিনীর বহরে প্রথমবারের মতো যোগ হওয়া দুই সাবমেরিন (ডুবো যুদ্ধজাহাজ) নবযাত্রা ও জয়যাত্রা’র কমিশনিং করতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকাল ১১টার পর তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে অবতরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নবযাত্রা ও জয়যাত্রা’র কমিশনিং ছাড়াও বিকেল সাড়ে তিনটায় পতেঙ্গায় বোট ক্লাবে ওয়াসার নতুন একটি পানি শোধন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন। সাবমেরিন নবযাত্রা ও জয়যাত্রা সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হবে। বোট ক্লাব থেকে আবারও ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
নৌবাহিনীর ‘নবযাত্রা আর জয়যাত্রা’ নৌবাহিনীর জন্য এক হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায় দুটি সাবমেরিন কেনার জন্য চীনের সঙ্গে ২০১৪ সালে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সাবমেরিন দুটি চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওয়ান শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সী ট্রায়ালের পর চীন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের তত্ত্বাবধানে ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে, সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ সাড়ে ৭ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সুসজ্জিত সাবমেরিনগুলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবো জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় সামনের দিকে ১২ এবং পেছনের দিকে ১১ নটিক্যাল মাইল।
‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’
চট্টগ্রাম নগর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরায় কর্ণফুলী নদীর তীরে সাড়ে ৩৫ একর জমির ওপর এই পানি শোধনাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি এটিকে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে নতুন প্রকল্পের পানি পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ শুরু করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার অর্থ সহায়তায় ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় এখন দিনে ১৪ কোটি লিটার বেশি পানি পাওয়া যাচ্ছে। এতোদিন চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদনের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৮ কোটি লিটার থাকলেও এই প্রকল্পের পানি যোগ হওয়ায় এখন পানি উৎপাদনের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩২ কোটি লিটারে পৌঁছেছে।