বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে। শুনানির নতুন তারিখ আগামী ২৩ জুন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ী আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়নি। তার পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও আমিনুল ইসলাম। মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানিতে আদালতকে বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়া অসুস্থ। পিজি হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আর এই কারাগারে খালেদা জিয়ার বিচার চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুনানি করা যাবে না। এ অবস্থায় মামলার শুনানি নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। এরপর আদালত আগামী ২৩ জুন শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর সংস্থার তৎকালীন সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান ২০০৮ সালের ৫ মে মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ বছরের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০ জন। এ মামলায় গত ৩ মার্চ সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম নিজেদের নির্দোষ দাবি করে চার্জ শুনানি শেষ করেছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া সব আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ হয় তখন।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা, মওদুদ, মোশাররফ, শহীদুল ছাড়া অপর আসামিরা হলেন— ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন আরও তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn