জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার মাধ্যম ও সহজে সারা বাংলাদেশে সংসদ সদস্য ও জনগণের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ওয়েব পোর্টাল আমার এমপি ডট কমে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের একজন নাগরিকের করা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন (সুনামগঞ্জ-৫ ) ছাতক-দোয়ারাবাজারের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। সম্প্রতি নোয়ারাই থেকে বাংলাবাজার ও দোয়ারাবাজার থেকে বোগলা বাজার পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রসঙ্গে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজারের বাসিন্দা ডাঃ আলী আহমেদের করা প্রশ্নের জবাবে উনার অফিসিয়াল প্যাডে মুহিবুর রহমান জানান (প্যাডের বর্ননা অনুযায়ী) ” জনাব ডাঃ আলী আহমদ জনগুরুত্যপূর্ন প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আপনি নিশ্চয়ই জানেন গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন. সংস্কার. মেরামত.নির্মাণ.পুনঃনির্মান ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারের একটি বিভাগ ( স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ) রয়েছে। কোন রাস্তার সংস্কার. নির্মাণ.পুনঃনির্মান মেরামত কাজ কখন হবে না হবে তার দিনক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তারাই। মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বাহবা কুড়ানোর নীতিতে আমি বিশ্বাসী নয়। তবে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমি অতিতের মতো আন্তরিক এবং স্বচেষ্ট।
ইহা সত্য যে বিশ্বের বৃষ্টি বহুল স্থান চেরাপুঞ্জির অতি নিকটে মেঘালয়ের পাদদেশে ছাতক দোয়ারাবাজার উপজেলা দুইটি অবস্থিত হওয়ায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল জনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্ত নোয়ারাই-বাংলাবাজার-হকনগর- দোয়ারাবাজার বাংলাবাজার এবং দোয়ারাবাজার-বোগলা বাজার রাস্তাটি জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে ওটার বিষয়টি আমার অজানা নয়। জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তা গুলোর সংস্কার/মেরামত কাজের উদ্দোগ গ্রহণ করার জন্য আমি মহান জাতীয় সংসদে একাধিকবার বক্তব্য রাখার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) প্রদান করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নোয়ারাই-বাংলাবাজার-হকনগর রাস্তার ছাতক অংশের সংষ্কার/মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি বরাদ্দের সীমাবদ্ধতার কারণে বর্নিত রাস্তা গুলির সংস্কার/মেরামতের কাজ একই সময়ে শুরু না হলেও ক্রমান্বয়ে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
প্রসঙ্গত, সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জনগণের সহজ যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে আমার এমপি ডট কম তৈরি করা হয়েছে। সাইটটি ব্যবহার করে যে কেউ তার এলাকার সংসদ সদস্যকে প্রশ্ন করতে পারছেন। একই সঙ্গে এমপিরাও উত্তর দিচ্ছেন জনগণের প্রশ্নের। এছাড়াও সাইটি ব্যবহার করলে ৩৫০ এমপির ফেসবুক আইডি, পেইজ, টুইটার অ্যাকান্ডট, ওয়েবসাইট এড্রেসসহ বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। পাওয়া যাবে এমপির ব্যাক্তিগত মুঠোফোন নাম্বার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn