নিখোঁজের ৮ দিন পর ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান তার রংপুরের বাসায় ফিরে এসেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ত্ব-হার শ্যালক জাকারিয়া হোসেন বলেন, আবু ত্ব-হা বর্তমানে তার শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন। তবে এতোদিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ফিরলেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেল ৪টার দিকে তিন সঙ্গীসহ আবু ত্ব-হা মুহাম্মাদ আদনান রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে তিনি সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান।

এরপর রাত ২টা ৩৬ মিনিটে স্ত্রী আবিদা নূরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আদনানের। তিনি সাভার যাচ্ছেন বলে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আদনানের সঙ্গে আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ছিলেন। ওই রাত থেকে তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন আদনানের মা আজেদা বেগম। স্বামীকে ফিরে পেতে আবু ত্ব-হার স্ত্রী সাবেকুন নাহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন। এছাড়াও মঙ্গলবার (১৫ জুন) সাবেকুন নাহার স্বামীকে ফিরে পেতে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বরাবরও দু’টি চিঠি দেন।

প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকেই উদ্ধার হন ত্ব-হা: পুলিশ

রংপুরে প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকেই ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান উদ্ধার হন বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেলে রংপুর ডিবির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মকর্তারা এ কথা জানান। মা ও ভাইয়ের জিডির সূত্রে আমরা অনুসন্ধান করতে থাকি। আজকে আমরা পোপন সূত্রে জানতে পারি আবু তার ত্ব-হা তার যে চার তলার মসজিদে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আছেন। সেই সংবাদ পেয়ে আমরা তাকে নিয়ে আসি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আমরা অপর সঙ্গীদের সন্ধান পাই।

ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন ত্ব-হা

ব্যক্তিগত কারণে গাইবান্ধায় বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান। শুক্রবার (১৮ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn