বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পঙ্কজ দেবনাথকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আজ সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসের কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের সব পদ হারানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে অব্যাহতির একটি চিঠি পেয়েছি।’ এর বাইরে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
অব্যাহতির ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ অন্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ। উপরোক্ত বিষয়ে আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগে জমা দেওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঙ্কজ দেবনাথকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
কেন আওয়ামী লীগের পদ হারালেন এমপি পঙ্কজ দেবনাথ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পঙ্কজ দেবনাথকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আজ সোমবার দুপুরে চিঠিটি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতাবলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা শাখার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ অন্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ। উপরোক্ত বিষয়ে আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগে জমা দেওয়ার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এর জেরে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৯ কর্মী খুন হন। দুই পক্ষের মধ্যে একপক্ষে আছেন এমপি পঙ্কজ দেবনাথ এবং অপরপক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থনপুষ্ট দুই উপজেলার নেতারা।
সূত্র জানায়, সবশেষ গত ২৮ আগস্ট মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান একটি পক্ষ আরেক পক্ষকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। আহত নেতাকর্মীদের মধ্যে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছিল। আহত নেতাকর্মীরা এমপি পঙ্কজ বিরোধী এবং ঘটনার অভিযুক্তরা পঙ্কজের অনুসারী।
এর আগে গত জুলাই মাসে এমপি পঙ্কজের মোবাইল ফোনের একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয়। সেখানে এমপি পঙ্কজ মেহেন্দিগঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে শোনা যায়, ‘আমার কর্মীদের বলে দিয়েছি রামদা নিয়ে রেডি থাকতে। সামনে যাকে পাওয়া যাবে, তাকেই কোপানো হবে। মেয়রকে পেলেও কোপানো হবে।’
পঙ্কজ দেবনাথকে দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার একটি চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, মেহেন্দীগঞ্জে আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করে নিজের বলয় সৃষ্টি করে পঙ্কজ দেবনাথ নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, পঙ্গু করে দেওয়া, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এ ছাড়া তার স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোনো পদ নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানতে চাইলে এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে অব্যাহতির একটি চিঠি পেয়েছি।’ এ ছাড়া তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঙ্কজ দেবনাথকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৮২ বার