পরকীয়ার জের।। প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু
জগন্নাথপুরে বন্ধুকে কুপিয়ে আহত করার পর সিলেটের একটি হোটেল থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার লাশ পাওয়া গেছে। আত্মহননকারীরা হলেন জগন্নাথপুরের মিণ্টু দেব ও জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের রুমি পাল। রোববার রাতে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাটে মেহেরপুর আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে পুলিশ এই প্রেমিক-প্রেমিকার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌরশহরের জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা মতিলাল দেবের ছেলে মিণ্টু দেবের সঙ্গে তার মাসতুতো (খালাতো) ভাই জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের রুমি পাল দেবের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সর্ম্পকের কথা মিণ্টুর বন্ধু জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা বাটুল দেবের ছেলে বাপন দেব জানত। এক সময় বাপন তার বন্ধুর প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়টি মিণ্টু জানতে পেরে বন্ধুর প্রতি প্রচন্ডভাবে রেগে যায়। যার জের ধরে শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে পৌরএলাকার বটেরতল নামকস্থানে অতর্কিতভাবে মিণ্টু বাপনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। আহতাবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা দুইজনই একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল জগন্নাথপুর সদর বাজার থেকে। এ ঘটনার পর দিন রোববার দুপুর ১২টার দিকে মিণ্টু দেব তার প্রেমিকাকে নিয়ে সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট পয়েন্টস্থ আবাসিক হোটেল মেহেরপুরে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে কোতোয়ালি থানা হোটেল
কক্ষ থেকে মিণ্টু ও রুমির লাশ উদ্ধার করে। মিণ্টুর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আর রুমির লাশ বিছানায় শোয়ানো ছিল। মিণ্টু দেবের বাবা জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা মতিলাল দেব জানান, তার ছেলে রূপচাদাঁ কোম্পানির এসআর হিসেবে জগন্নাথপুরে কাজ করত। মিণ্টু ও বাপনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ছিল।
তিনি বলেন, বন্ধু বাপনের সঙ্গে তার প্রেমিকাকে নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। যে কারণে বাপনকে মারধর করে ওই রাতেই আমার ছেলে পালিয়ে যায়। রোববার রাতে খবর পেয়েছি সে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ ছেলের লাশ হস্তান্তর করেছে। সন্ধ্যায় সিলেটের চালিবন্দর শশ্মানঘাটে তার লাশ সৎকার করা হয়েছে। বাপনের জ্যাঠা (চাচা) কুঞ্জন দেব জানান, বাপনের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক রয়েছে সন্দেহে মনে করে ক্ষোভে মিণ্টু বাপনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে গেছে। বাপন বর্তমান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন জানান, হোটেল কক্ষ থেকে তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ারপর তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।