পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে প্রতারণা: দুই যুবক একদিনের রিমান্ডে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন দিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য সাহায্যের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ভুঁইয়া এ রিমান্ড আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বেলাল হোসেন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। প্রতারক চক্রটির সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, এ বিষয়সহ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে আগামী শনিবার তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘শুনানি শেষে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সুবনদন্ডি গ্রামের জাফর আহমদের ছেলে এহসানুল হক তাহের (২৬) ও একই জেলার সারুয়াজলি থানাধীন উত্তর কনজুরি গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে আবু তৈয়বের (২৪) রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে এমপি পরিচয়ে মন্ত্রীকে ফোন দেয় প্রতারক চক্রের সদস্য এহসানুল হক হাসান।’
পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুলাই রাত ৯টার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মোবাইলে ফোন দেয় এহসানুল হক হাসান। নিজেকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান পরিচয় দিয়ে মন্ত্রীকে জানায়, তার এক আত্মীয় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ সময় মন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতার অনুরোধ করে সে। মন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে অবহিত করেন। এরপর চক্রটি চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের কাছ থেকে ৫৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে রোগীর খোঁজ নিতে ওসমানী হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগ নেতারা। কিন্তু ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে তাদের মনে সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেক বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই’কে আদেশ দেওয়া হয়।