পরিকল্পনামন্ত্রীর বৈঠকখানা এখন গরীব মানুষের কমিউনিটি সেন্টার
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ-: পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান, হাওরাঞ্চলের মানুষ যাকে হাওর রত্ন বা উন্নয়নের মহারথী উপাধী দিয়েছে। এই দেয়াতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। কারন তিনি তার কাজের মাধ্যমে হাওরপাড়ের মানুষের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে এই উপাধী অর্জন করে নিয়েছেন। হাওরবেষ্টিত জেলা সুনামগঞ্জে যখন কোনো কিছুই ছিলো না তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিয়েছেন বিশেষ বিশেষ উপহার। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য উপহার হলো সুনামগঞ্জবাসীর বহুল প্রত্যাশিত সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল, সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, রানীগঞ্জ সেতুসহ আরও বড়বড় স্থাপনা। ইতিমধ্যেই সুনামগঞ্জবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। আর এসব কিছু তার হাতধরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ক্লীন ইমেজের এই লোক এজন্য এই অঞ্চলে সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের দূত হিসাবে হাওরপাড়ের মানুষকে দিয়ে যাচ্ছেন সরকারের উন্নয়নের বার্তা। তিনি জনগনের ভোটের মূল্য দিতে কোনো ভুল করেন নি। তাই তো হাওর পাড়ের এ সন্তান কিছুদিন আগে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের অসহায়, দুস্থ, বিধবা ও দরিদ্র নারীদের কল্যাণে নিজের পৈতৃক ভিটার ৪১ শতক জমি সরকারের নামে দান করে দিয়েছেন। তার দান করা জমিতে মন্ত্রীর মায়ের নামে ‘আজিজুননেছা টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট’ তৈরি হবে। সেখান থেকে হাওরাঞ্চলের নারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। হাওরবাসী যেন উন্নয়নের সুরঙ্গপথ খুঁজে পেয়েছে আলহাজ্ব এম এ মান্নানের মাধ্যমে। যার খনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনামন্ত্রী উন্নয়নের মধ্যে এতটা ডুবে রয়েছেন যে তিনি নিজের কথা একটুও না ভেবে গরীব, অসহায়দের নিয়ে ভাবতে ভাবতে তাদের মধ্যে নিজের সব অস্থিত্ব বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাই তো ‘হিজল করচ’ নিজের খাস বাড়ীটার মুন্সী আরফান আলী বৈঠকখানা দিয়েছেন এলাকার দুস্ত মানুষের উপকারে।
জানা যায়, শান্তিগঞ্জ বাজারস্থ সিলেট-সুনামগঞ্জ মহা সড়কের বাম পার্শ্বে অবস্থিত ‘হিজল করচ’ নামের উনার একটি বাড়ি রয়েছে। যেটি দলীয় কার্যালয়. বাসভবন, সরকারীদের আমলাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের বসার জায়গা হিসাবেও পরিচিত এটি। সম্প্রতি তিনি তার শান্তিগঞ্জের টিনশেডের বাড়িতে মুন্সী আরফান আলী বৈঠকখানাকে একটি কমিউনিটি সেন্টার করার ঘোষণা দিয়েছেন। এলাকার দরিদ্র মানুষেরা এটিতে বিয়ে-শাদিসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করবেন। এলাকার হিন্দু-মুসলিম সকলকে এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য যার এত চিন্তাচেতনা সেই মানুষটির জন্য ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার শেষ নেই সাধারণ মানুষের। খবরটি পাওয়ার পর খুশিতে আত্মহারা গরীব ও সাধারণ মানুষেরা। তারা এই সাদা মনের মানুষের দীর্ঘ হায়াৎ ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন। এলাকার গরীব (হতদরিদ্র) ও সাধারণ মানুষেরা জানান, কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। মন্ত্রী মহোদয় আমাদের কথা চিন্তা করে যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরা অত্যান্ত খুশি। এখন সুন্দরভাবে বিয়ে-শাদি দেয়া যাবে। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। সুশীল সমাজের মতে, গরীব(হতদরিদ্র) ও সাধারণ মানুষের জন্য পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের এ ত্যাগ বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্য উনার যে প্রেম তা বলা বাহুল্য। পুরো সুনামগঞ্জ জেলার সার্বিক উন্নয়নে উনার অবদান অনস্বীকার্য। তার হাতধরেই উন্নয়নের সোপানে আমরা। চারিদিকেই এখন তার উন্নয়নের জয়গান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের উন্নয়নের আলোয় আলোকিত পুরো সুনামগঞ্জ জেলা। অবহেলিত এই হাওরাঞ্চলের তিনি আলোর প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। তার হাতধরেই উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা। অত্যন্ত সাদামনের এই মানুষটি নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের জন্য৷ নিজের বাড়িটি তিনি হতদরিদ্রদের বিয়ে- শাদির জন্য কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যা বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম। এ ব্যাপারে কথা হলে পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন বলেন, অনেকেই আছেন যারা টাকার জন্য সেন্টার ভাড়া করতে পারেননা যাদের তেমন সামর্থ্যও নেই, সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই মাননীয় মন্ত্রী গরীবদের (হতদরিদ্রদের) জন্য উনার শান্তিগঞ্জস্থ হিজল বাড়িটি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় উন্নয়ন দিয়ে এই হাওরাঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এত উন্নয়ন হয়নি যা হচ্ছে এখন।