পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
অবিলম্বে সকল হাওররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করা ও ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সকল হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার দাবিতে শুক্রবার সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন হাওর পাড়ের কৃষকবৃন্দ। বিকাল ৩ টায় জামালঞ্জের পাগনার হাওরের গঙ্গাধরপুর গ্রামের পাশে ও সকাল ১১টায় হালির হাওর পাড়ে বদরপুর গ্রামের কাছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন হাওরবাসী। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত এসব মানব বন্ধন ও বিক্ষোভে হাওরতীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের কৃষকরা যোগ দেন। মানববন্ধন চলাকালীন সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা নির্ধারিত সময়ের দেড়মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো বেশিরভাগ ভাগ হাওররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে সকল বাঁধের কাজ শুরু করা এবং নীতিমালা অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য জোর দাবী জানান। মানববন্ধনে বেশ কয়েকজন বক্তা পি আই সি গঠনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন। তারা বলেন, গত বছর হাওরে ফসলহানীর পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সুনামগঞ্জ সফর করেন। আমরা হাওরবাসী আশা করেছিলাম এ বছর সময়মত ও সঠিকভাবে হাওররক্ষা বাঁধের কাজ হবে। কিন্তু এখনো বেশির ভাগ বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি। তাই সময়মত কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে। এবছর কারো অবহেলার কারনে হাওরে ফসলহানী হলে হাওর বাসী কাউকে ছাড় দিবেনা। বক্তারা আরো বলেন, এখনো যদি কাজ শুরুই না হয় তাহলে সময়মত কাজ শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিবে। তারা বলেন, এটা সত্য হাওর থেকে পানি নামতে বিলম্ব হয়েছে, তাই বলে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। এক্সেভেটর মেশিন এর বাকেট দিয়ে কাদা মাটি বাঁধের উপর দিলে তা পরে শক্ত হবে। প্রয়োজনে নৌকায় করে মাটি এনে বাঁধ দিতে হবে। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রকৌশলী না থাকায় এখনো অনেক বাঁধে প্রাক্কলন করা হয় নি। কেন আগে থেকে প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হলনা? এবার কোন বিপর্যয় দেখা দিলে হাওরবাসীকে রক্ষা করা যাবেনা। সবাই এক হয়ে হাওর রক্ষায় কাজ করতে হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাসমির রেজা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটু’র পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান তালুকদার, বাদল দাস, শিক্ষক ঝুটন পাল, কৃষক খোকন মিয়া, আব্দুল কাদির, মধু পাল প্রমুখ।