পিসিবি বরাবরই বলে আসছে, নিরাপত্তার নির্দিষ্ট কোন হুমকির কারণে সফর বাতিল করেছে নিউজিল্যান্ড সেটা বলা হয়নি তাদের। ইংল্যান্ডও সরাসরি নিরাপত্তার ইস্যুর কথা বলেনি। এদিকে পাকিস্তানের বৃটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, সফর বাতিল করার সিদ্ধান্তের পুরোটাই ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের। দেশটির নাগরিকদের পাকিস্তান সফর না করার ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দেয়নি তারা। এসব কিছুর পর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অজি ক্রিকেটার উসমান খাজা বলেন, ‘আমার মনে হয়, খেলোয়াড় ও বোর্ডগুলোর পাকিস্তানকে না বলাটা খুবই সহজ। কারণ, দেশটার নাম পাকিস্তান। আমার ধারণা, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমনই হয়। তবে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কেউই ভারতকে না বলবে না।’ উসমান খাজা বলেন, ‘আসলে টাকা কথা বলে। আমরা সবাই জানি এটা, হয়তো এসব কিছুর পেছনে বড় একটা হাত সেটারও আছে। বারবার তারা (পাকিস্তান) টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দেখিয়েছে, ক্রিকেট খেলার জন্য জায়গাটা নিরাপদ। না যাওয়ার পেছনেও কোনো কারণ পাচ্ছি না আমি।’
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ারও সফর করার কথা পাকিস্তানে। তবে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের সফর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর অস্ট্রেলিয়ার পাকিস্তান যাওয়াটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রমিজ নিজেই জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ারও পাকিস্তান সফর প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও ‘ফাইভ আইজ ইন্টেলিজেন্স অ্যালায়েন্স’- নামের গোয়েন্দা সংস্থার অন্তর্ভুক্ত। নিরাপত্তাসংক্রান্ত তথ্য ‘শেয়ার’ করে এসব দেশ। উসমান খাজা বলেন, ‘সবাই সেখানে নিরাপদ বোধ করে, আমি বরাবর এটাই শুনে এসেছি। এ ছাড়া অন্য কিছু না। যারা পিএসএলে (পাকিস্তান সুপার লীগ) খেলে, তারাও বলেছে একই কথা। ১০ বছর আগে হয়তো অনিশ্চয়তা ছিল, তবে এখন সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে সবাই শতভাগ নিশ্চিত। ১৯৯৮ সালের পর পাকিস্তান সফর করেনি অস্ট্রেলিয়া।